এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন অমিত শাহ! তার আগে ফোন গেল খোদ মমতার কাছে

বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন অমিত শাহ! তার আগে ফোন গেল খোদ মমতার কাছে


রাজনৈতিকভাবে তাদের দুজনের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরত নিয়ে সম্প্রতি তাদের দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি অমিত শাহকে একটি আবেদন করেছিলেন বলেও সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর সেই কথা নিয়ে যখন ব্যাপক জল্পনা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে, ঠিক তখনই ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোন এল সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

কিন্তু হঠাৎ কি এমন বিষয় নিয়ে অমিত শাহ ফোন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে? সূত্রের খবর, আগামী 31 মে চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে। আর তারপরে আর লকডাউন মেয়াদ বাড়বে কিনা, তার ব্যাপারে মতামত জানতেই এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, এদিন প্রায় প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই এই ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা বর্তমানে কিছু কিছু রাজ্যে করোনা ভাইরাস স্থিতাবস্থা রূপ নিলেও, বেশকিছু রাজ্যে এই ভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা ভাইরাস ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা আসার কারণে এই ভাইরাস আরও সংক্রমিত হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে লকডাউন বাড়ানো ছাড়া কারোর কাছে কোনো উপায় নেই। সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকদের এভাবে রাজ্যে আসা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে কেন এত শ্রমিককে একবারে পাঠানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আর এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে, তার একটি তথ্য তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। যেখানে তিনি বলেন, “আমি অমিত শাহকে বলেছিলাম, আপনারা যদি মনে করেন আমরা পারছি না, তাহলে আপনি দায়িত্ব নিন। আর তখন উনি আমাকে বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ভাঙব কি করে!” এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলার পরেই বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।

তিনি বলেছিলেন, “ক্ষমতা থাকলে এক ঘন্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার ছেড়ে দিন। আমরা দেখিয়ে দেব কি করে পরিস্থিতি সামলাতে হয়!” আর এমতাবস্থায় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনের পরই নানা মহলে তীব্র জল্পনা ছড়ায়। তাহলে কি সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে কিছু বলার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন অমিত শাহ? কিন্তু না। মূলত কিভাবে লকডাউন করা হবে, তা নিয়েই প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মতামত জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!