প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের তিক্ততা কারোরই অজানা নয়। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের মুখ হলে দিলীপ ঘোষ বিরোধী প্রতিপক্ষ বিজেপির প্রধান সেনাপতি। সেদিক থেকে দিলীপবাবুর প্রধান দায়িত্ব দলকে সাফল্য পাইয়ে দেওয়া। বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের আগেই এবার “দিদি জিন্দাবাদ” বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

কিন্তু হঠাৎ করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কেন “জিন্দাবাদ” শব্দ প্রয়োগ করলেন দিলীপবাবু, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

যেখানে তিনি বলেন, “পুলিশ তোলা তুলে কালীঘাটে পাঠাচ্ছে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই পুলিশকে কাজে লাগাচ্ছে। বিজেপিকে আটকানোর জন্য থানার বড়বাবু এখন তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট। জেলার পুলিশ সুপার এখন তৃণমূলের জেলা প্রেসিডেন্ট। তারা ভুলে গিয়েছে, যে বেতন তারা পান, তা সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায়। এরপর তারা আবার বালি ও কয়লার ট্রাক থেকে তোলা তুলছে। দিদির পুলিশ আর দল সব এক হয়ে গিয়েছে।” স্বভাবতই পুলিশ প্রশাসনকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কার্যত বিড়ম্বনায় ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে হঠাৎ করেই “দিদি জিন্দাবাদ” শব্দ প্রয়োগ করে বসেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “দিদি জিন্দাবাদ। যদি কেউ অসুবিধায় পড়ে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরুন। বলুন মা মাটি মানুষ জিন্দাবাদ। কেউ গায়ে হাত দেবে না। মমতার সরকার পুলিশ প্রশাসনকে লাগিয়েছে বিজেপিকে আটকানোর জন্য। আর টিএমসিকে তুলে দিয়েছে পিকের হাতে। তৃণমূলের নেতারাই একথা বলছেন। কোটি কোটি টাকা দিয়ে পিকেকে রাখা হয়েছে। সে নাকে জিতিয়ে দেবে। ভগবানও এবার তৃণমূলকে জেতাতে পারবে না।” স্বভাবতই এই ঘটনায় ব্যাপকভাবে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে।

এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে কয়লা খাদান থেকে টাকা তোলার অভিযোগ করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “পাথর খাদান, কয়লা খাদান থেকে পুলিশ টাকা তুলছে। আর তা তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে দেওয়া হচ্ছে। যাচ্ছে কালীঘাটে। রাজ্যের মানুষ ঠিক করে নিয়েছে এবার তৃণমূলকে হারাবে। তাই কারও জেতানোর ক্ষমতা নেই। দিদির বিসর্জন হবে মে মাসে। সেইসময় জোরদার করে পুজো করা হবে। মানুষ পরিবর্তনের জন্য বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছেন।”

অর্থাৎ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এইসব মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, আগামী দিনে কোনোমতেই তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে পারবে না। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে বিজেপি নেতা কর্মীদের অনেকটাই উজ্জীবিত করল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির তৃনমূল বিরোধিতার সুর সপ্তমে ওঠার সাথে সাথেই এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।