এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অমিত শাহের বড়সড় প্লানের কথা ফাঁস করলেন মমতা , জেনে নিন!

অমিত শাহের বড়সড় প্লানের কথা ফাঁস করলেন মমতা , জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বঙ্গে অমিত শাহ সফরে রাজ্য রাজনীতি যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সে কথা মনে করেছেন অনেক রাজনীতিবিদই। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে অমিত শাহের কটাক্ষ বাণীর বিরোধিতা করতে নাম না করে বিজেপি সরকার তথা অমিত শাহকে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর বিধানসভা ভোটে এরপর বিরোধীদের সঙ্গে শাসকদলের লড়াই যে একেবারে সেয়ানে সেয়ানে হবে, সে কথাও মনে করছেন অনেক কূটনৈতিকই।

আর সেই পরিস্থিতিতে কার্যত সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে যা করা হলো তা নিয়ে মুখে আর লাগাম রাখতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, আজকের সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিবিআই এবং আয়কর দপ্তরের অফিসারেরা। সেখানে গরু পাচার এবং আয়কর দপ্তরের বহু জায়গায় তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে। যার মধ্যে গরু পাচারের জন্য কলকাতার চার জায়গায় তল্লাশি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুর, আসানসোল, জামুড়িয়া, অন্ডাল, পুরুলিয়া, রানীগঞ্জের মতো জায়গায় তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে আয়কর দপ্তরের অফিসারদের।

জানা গেছে বেআইনি কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আর সেই বিষয়ে অমিত শাহের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এই তল্লাশির যোগ সূত্র খুঁজে পেয়েছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, আজ তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাঁকুড়ায় নিমন্ত্রণ খেতে এসেছেন, আর আজ আধা সামরিক বাহিনী নিয়ে তল্লাশি হচ্ছে শুনছি—আসানসোল, পুরুলিয়া, দুর্গাপুরে। আর সেটা যে রাজ্য পুলিশকে কিছু না জানিয়েই, সেই নিয়ে বলতে শোনা গেছে তাঁকে।

আজ নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি চলে আসছে। সেন্ট্রাল থেকে পুলিশ নিয়ে চলে আসছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে এই ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, পুলিশ অফিসারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাদের কথা না শুনলে ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হবে ভিজিলেন্স দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হবে বলা হচ্ছে বলেও প্রতিবাদ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, এসব তিনি প্রথম দেখেছিলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সময়ে। তাঁর স্ত্রীর ব্যাপারেও এ সব করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর কথার বিরোধিতা করে বিজেপি মুখপাত্র সায়ন্তন বসু বলেন, কোথায় কী তল্লাশি হচ্ছে সেটা তিনি জানেন না। তবে তাঁর মতে এটা ঠাকুর ঘরে কে-র মতো ঘটনা। তাঁর মতে, শুধু বিজেপিই নয়, গরু ও কয়লা পাচারের ঘটনা নিয়ে রাজ্যে তামাম বিরোধী দল শাসক দলের বিরুদ্ধে অতীতে বারবার অভিযোগ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তাঁর কথায়, রাজ্যে বিজেপি নেতারা দিল্লির কাছে বারবার এই গরু, কয়লা, পাথর, বালি পাচারের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য দাবি করেছিল। কারণ ওই টাকাই নাকি তৃণমূলের রাজনীতির রসদ বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে সেই কথাতে সায় দিয়ে দিল্লি এই কাজ করেছে কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। তবে বিষয় হল গত কিছুদিন ধরে গরু পাচারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের গতি বাড়ানো হয়েছে বলেই দেখা গেছে।

অন্যদিকে, তদন্ত এজেন্সি সূত্রে জানা গেছে, এই সব পাচারের ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশ কর্তা বা অফিসার জড়িয়ে থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতেই, এই তল্লাশি অর্থবহ। কারণ বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি যে রাজ্যের এক শ্রেণির আমলা ও অফিসারদের বার্তা দিতে চাইছে সেই কথাই মনে করা হচ্ছে।

কারণ অনেকের মতেই, বাংলায় পুলিশ ও প্রশাসনের উপরে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল যে অনেকাংশে নির্ভরশীল, সেটাই মনে করে বিজেপি। আর সেখানেই আঘাত আনতে চাইছে বিরোধীরা। আর দিল্লির এই রাজনীতি আন্দাজ করেই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী এখানে রাজ্যের অফিসারদের বেফিকর থাকতে বলেছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!