এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি! কারণ জানতে চান খোদ ক্ষুব্ধ অমিত শাহ

উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি! কারণ জানতে চান খোদ ক্ষুব্ধ অমিত শাহ

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে খড়গপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুরের বিধানসভা উপনির্বাচনের। আর তাতেই দেখা গেছে, সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ভাবে একদিকে যেমন তিনটি আসনেই জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, অন্যদিকে তেমনই নিজেদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জে পরাজয় ঘটেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তবে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে যেহেতু লোকসভা ভোটে পিছিয়ে ছিল ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত – তাই ওই কেন্দ্র নিয়ে খুব বেশি আত্মপ্রত্যয়ী ছিল না গেরুয়া শিবির।

কিন্তু উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার একদিন আগে অবধি মুকুল রায় যেভাবে দিল্লিতে গিয়ে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতিকে তিনে তিনটি আসন জেতার দাবি করে এসেছিলেন, বাস্তবের মাটিতে দেখা যাচ্ছে, সেই দাবি সম্পূর্ণরূপে উল্টে গিয়েছে। আর এর পরেই দিল্লি থেকে এই হারের উপযুক্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর সেই জবাবদিহির কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই আলোচনায় বসতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, পরাজয়ের প্রকৃত কারণ অন্বেষণ করার জন্য ইতিমধ্যেই জেলা বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই জেলা কমিটির তরফ থেকে সেই রিপোর্ট রাজ্য কমিটির সভাপতির টেবিলে জমা পড়েছে। জেলার রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের যে সমীক্ষা হবে, তার প্রতিলিপি সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর কাছে পাঠানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিজেপি সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে এই অপ্রত্যাশিত হারের প্রকৃত কারণ কী, তার কারণ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানতে চেয়েছে ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

বিশেষ সূত্র মারফত জানা গেছে, আগামী 7 ডিসেম্বর কলকাতায় একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। শনিবার দিন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতির। ইতিমধ্যেই তার জন্যে উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন দিলীপ ঘোষ, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা, মুকুল রায় প্রমুখ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন আনতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য বিজেপির মূল আলোচ্য বিষয় যে, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে 57 হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল পদ্মফুল শিবির। লোকসভা ভোটের সামান্য কয়েক মাস পার হতে না হতেই সেই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে কি করে 2304 ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস!

এক্ষেত্রে স্থানীয় এলাকা থেকে জানা যায়, মূলত এনআরসি নিয়ে নিজেদের অবস্থান জনগণের কাছে প্রকৃতভাবে প্রকাশ করতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এনআরসির কুপ্রভাব সম্পর্কে মানুষের মধ্যে প্রচার অভিযান চালাতে সক্ষম হয়েছে। তাই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের এই ফলাফল এনআরসির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছে একাংশ। এই কারণেই যে কালিয়াগঞ্জ এলাকার নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে, এখানে কার্যত 57 হাজারের ব্যবধান পূর্ণ করে 2304 ভোটে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

অপরদিকে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যেখানে বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল অনেকটাই দায়ী। খড়্গপুরের পরাজয়ের পিছনে অনেকটাই দায়ী বলে মনে করছে একাংশ। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য সহ-সভাপতি চন্দ্র বোস বলেছেন যে, এনআরসির প্রচারের ক্ষেত্রে যে অপ্রাসঙ্গিক তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, বাংলার মানুষের মধ্যে তা সঠিকভাবে প্রভাব বিস্তার করেনি।

বরং পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ এনআরসি বিরুদ্ধেই নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন। ধর্মীয় বৈষম্যের রাজনীতিতে উন্নয়নে অনেকটাই কর্মসূচি থেকে বাদ পড়ে গেছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মনে করছেন চন্দ্র বসু। আর চন্দ্রবাবুর এই ব্যাখ্যা বিজেপির কাছে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এখন বিজেপি রাজ্য কমিটির বৈঠকে পরাজয় ঠিক কি কারনে আসে অমিত শাহের কাছে! রাজ্য বিজেপি কি জবাব দেয় এবং নিজেদের ত্রুটিগুলো দূরীভূত করে আগামী দিনে কি রণনীতি নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলায় কাজ করে! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!