প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। আর ভোটের আগে গতকালই তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গেছে একাধিক মিমের নেতাকে। সেখানে রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে অনেক মিম নেতাই তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে। যাদের মধ্যে মিমের প্রধান মুখ আনোয়ার পাশাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

যদিও এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করেছেন যে মিম মনে করছে তাদের কাজটা তৃণমূল করে দেবে। কারণ তৃণমূলও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। তাই মিম তৃণমূলের হাত ধরেছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে যা কিছু করলেও তাদের আশা যে সাফল হবে না আর রাজ্যের মানুষই যে সেই আশা পূরণ হতে দেবে না সেই কথাই বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।

অন্যদিকে, সোমবার বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্যকেও মিম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল। হায়দরাবাদে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলিমদের অনুপ্রবেশের সুযোগ তাঁরাই করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর কথায়, ৩০-৪০ হাজার রোহিঙ্গা হায়দরাবাদের ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

আর এরপরই এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিনকে। তাঁর মতে, সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করে, মানুষকে মধ্যে ঘৃণা ছড়াতেই বিজেপি এমন অভিযোগ করছে বলেই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, যদি ভোটার তালিকায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা থেকে থাকে, তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী করছিলেন বলেও প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

এদিন অমিত শাহকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “উনি কি ঘুমোচ্ছিলেন? ৩০-৪০ হাজার রোহিঙ্গা কী করে ঢুকল সেটা দেখা কি ওঁর কাজ নয়? যদি বিজেপির মধ্যে সততা থাকে তো অন্তত ১ হাজার এরকম নাম উল্লেখ করে দেখাক সন্ধের মধ্যে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে আসাদুদ্দিন ওয়াইসির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এর আগে বিহারের এনডিএ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর বিরোধীরা আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলেও দায়ী করেছিল বলে জানা গেছে।