এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শাহের ভার্চুয়াল জনসভায় মুকুলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা-বক্তব্য! বিজেপিতে পরিবর্তনের হাওয়া জোরালো

শাহের ভার্চুয়াল জনসভায় মুকুলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা-বক্তব্য! বিজেপিতে পরিবর্তনের হাওয়া জোরালো


ধীরে ধীরে কি এবার খেলা দেখাতে শুরু করলেন মুকুল রায়? বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি যে দলেরই সৈনিক হন না কেন, যে দলেরই নেতা হন না কেন, তার নামের আগে “চাণক্য” নামক শব্দটি বসে। প্রায় অনেকদিন হল, তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তারপর বহু হেভিওয়েট নেতা কর্মীদের গেরুয়া শিবিরে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপিতে সেভাবে পদ পাননি মুকুল রায়। তবে সাম্প্রতিক কালে তার অনুগামীদের রাজ্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। যার পরেই মুকুলবাবু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যেতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

আর এমত পরিস্থিতিতে সেই মুকুল রায়কে যে অনেকটাই গুরুত্ব দিতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভার দিনেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। বস্তুত, লকডাউনের পরবর্তী সময়কালে এদিন অনলাইনের মাধ্যমে বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেখানে দিল্লি থেকে অমিত শাহ ভাষণ দিলেও, বাংলায় রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে একটি মঞ্চ করা হয়। যেখানে দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়।

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখার কথা। কিন্তু প্রথমেই সেখানে বক্তব্য রাখবার জন্য ডেকে নেওয়া হয় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। আর এই ঘটনাতেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যায় যে, মুকুল রায়কে কতটা গুরুত্ব দিতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন বক্তব্য রাখতে উঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, “আর মাত্র নয় মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হবে। সেই জন্য আমাদের পথ দেখাতেই অমিত শাহজি এই জনসভায় হাজির হয়েছেন। তাই তার কাছ থেকে আমরা শুনব, কিভাবে আমাদের পথ চলতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুকুল রায়ের ক্যারিশমাতেই পশ্চিমবঙ্গে বিগত লোকসভা নির্বাচনে 18 টি আসন দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু তারপরেও মুকুলবাবুর অনুগামীরা আশা করেছিল, তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে সম্মান জানাবে। কিন্তু তা সত্বেও তিনি তেমন ভাবে কোনো পদ পাননি। তবে সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের অভিজ্ঞতা যে অত্যন্ত দরকার এবং তার কারণেই যে তাকে এবার গুরুত্ব দিতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভার দিন প্রথম বক্তা হিসেবে মুকুল রায়কে ডাকার ঘটনাতেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

একাংশ বলছেন, শুধু সভায় মুকুল রায়কে দিয়ে বক্তব্য রাখালেই হবে না। এবার তাকে পাকাপাকিভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে না বসালে সামনের দিনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকে সরানো কোনোমতেই সম্ভব হবে না বিজেপির পক্ষে। ফলে সেদিক থেকে ভার্চুয়াল সবার দিন মুকুল রায়কে অনেকটা গুরুত্ব দেওয়া হলেও, সাংগঠনিক দিক দিয়ে মুকুল রায়ের গুরুত্ব কতটা বৃদ্ধি করে গেরুয়া শিবির, এখন সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!