অমিত শাহ ফেরার পরেই মাঠে নেমে ধান কেটে জনসংযোগ বিজেপি সভাপতির, নয়া পদক্ষেপে জল্পনা ! উত্তরবঙ্গ বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 10, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সদ্যই পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাংগঠনিক কাজ সেরে ফেরত গেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যে অমিত শাহ যে প্রচার পর্বের সূচনা করে গেলেন সে ব্যাপারে একমত বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এবার অমিত শাহ বঙ্গ বিজেপিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর। তাতে সাংগঠনিক জোর বাড়বে। আর অমিত শাহের কথা মতোই এবার জনসংযোগ বাড়াতে নব উদ্যোগ উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি সভাপতির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফেরত যেতেই সোজাসুজি মাঠে নেমে ধান কাটার কাজে যোগ দিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি সভাপতি। মনে করা হচ্ছে, জনসংযোগের এ এক অন্য পদক্ষেপ। সম্প্রতি রায়গঞ্জের তাহেরপুর গ্রামে এক মহিলা কৃষকের 10 বিঘা জমির ধান কাটতে সোজা মাঠে নেমে পড়লেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। শুধু তাই নয়, উত্তর দিনাজপুর জেলায় কৃষকদের মাঠের ধান ঘরে তোলার কাজে তাঁদের সাহায্য করতে যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছে জেলা বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির মন্তব্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের যুবক ও শ্রমজীবীরা বর্তমানে রুটি-রুজির খোঁজে ভিন রাজ্যে। অন্যদিকে গ্রামের কৃষকদের জমির ফসল পেকে গেছে। শ্রমিকের অভাবে ফসল ঘরে তোলা যাচ্ছেনা। তাই সমস্যা সমাধানে বিজেপি নেতা-কর্মীরা কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের মতে, কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার পদক্ষেপ উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির। রায়গঞ্জের তাহেরপুর গ্রামে জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীকে দেখা যায় এদিন নিজেই কাস্তে হাতে নেমে পড়েছেন ফসল কেটে ঘরে তুলতে। পাশাপাশি এদিন বিশ্বজিৎ লাহিড়ী জেলার সমস্ত বিজেপি কর্মীদের কাছে কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আবেদন রাখেন। তিনি বার্তা দেন, কোন কাজ ছোট নয়। রুটি-রুজির টানে ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা কাজে গিয়েছে। তাই কৃষকেরা জমির ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাচ্ছেন না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই অবস্থায় বিজেপি কর্মীদের কৃষকদের সাহায্য করতে হবে। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য জনসমর্থনের প্রয়োজন। আর সেই সমর্থন যে সাধারণ মানুষরাই করবেন সে কথা অনস্বীকার্য। আর সেই উদ্দেশ্যেই জমির ফসল তোলার কাজে হাত দিয়েছে বিজেপি। এবং এরপরেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের উদ্দেশ্য সরাসরি রাজনৈতিকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির। উত্তরবঙ্গে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের জোর বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে। এই জোড় বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের মনোবলও বৃদ্ধি করেছে। আর কয়েক মাসের মধ্যেই সামনে আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই মনোবল ধরে রাখার জন্যই একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে গেরুয়া শিবির। শুধু উত্তরবঙ্গেই নয়, রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শিবির এবার ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখলের উদ্দেশ্যে। আর সে কারণে জনসংযোগকেই গুরুত্ব দিচ্ছে তাঁরা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -