এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > CBI, আয়কর তল্লাশিতে ‘দিদি’ রেগে যাচ্ছেন কেন? জল্পনা বাড়িয়ে ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন ছুঁড়লেন শাহ!

CBI, আয়কর তল্লাশিতে ‘দিদি’ রেগে যাচ্ছেন কেন? জল্পনা বাড়িয়ে ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন ছুঁড়লেন শাহ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার কয়লা কারবার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বস্তুত, কয়না এবং বালি খাদান নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ বারবার বিজেপির পক্ষ থেকে করা হয়েছে। যেখানে এইসব ঘটনার কথা তুলে ধরে মুকুল রায় থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষের মত বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নীতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন। আর এবার রাজ্যে এসে সেই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য।

বলা বাহুল্য, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে বাংলার সরকারের আইন শৃংখলার অবনতির দিক যেমন প্রধান ইস্যু হিসেবে থাকছে, ঠিক তেমনই থাকছে দুর্নীতির প্রসঙ্গ। তাই রাজ্যে যখন আর পাঁচ থেকে ছয় মাস বাকি বিধানসভা নির্বাচনের, তার আগে বাংলায় এসে অমিত শাহ সেই দুর্নীতির কথা তুলে ধরে তৃণমূলকে আরও বেশি করে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে বাংলায় আয়কর তল্লাশি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্নের জবাব দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “বাংলায় সিবিআই, আয়কর তল্লাশি হচ্ছে বলে দিদি রেগে যাচ্ছে। কাল এখানকার কোনো কয়লা ব্যবসা লালাজীর ওখানে তল্লাশি হয়েছে। তাতে দিদি রেগে গেছেন। মমতাদি আগে বলুন, লালাজি সঙ্গে ওনার কিসের! মমতা দিদির এত চিন্তা কেন? কয়লার রাজস্ব তো রাজ্যও পায়। সেই কয়লা চুরি হলে চোরকে ধরা যাবে না! এই চিন্তাটা যদি রাজ্যের মহিলাদের জন্য করতেন, তাহলে ভালো হত।”

একাংশ বলছেন, অমিত শাহ খুঁটিনাটি তথ্য নিয়েই বাংলায় এসেছেন। তাই কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির নামের কথা বলে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তার কাছে সমস্ত তথ্য আছে। আর সেই অপরাধকে রুখতে গেলে সিবিআই পদক্ষেপ গ্রহণ করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা প্রশ্ন নিয়ে এবার জবাব দিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বাংলায় পরিবর্তন হবেই বলে দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দুশোর বেশি আসন নিয়ে বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করবে। মিলিয়ে নেবেন। আমি মমতাদির থেকে বয়সে ছোট হতে পারি। কিন্তু রাজনীতিটা অনেকদিন ধরেই করছি। গোটা দেশ ঘুড়ি। মমতার সরকারের পতন হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না।”

এদিকে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয় নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “দিদি চাইছেন ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করতে। বাংলার মানুষ কি পরিবারতন্ত্র চান, নাকি অধিকার চান উন্নয়নের! বাংলার মানুষ অনেক আশা নিয়ে পরিবর্তন এনেছিল। কিন্তু কি হল! মা-মাটি-মানুষের নামে স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণ- তানাশাহি এবং তোলাবাজি চালু করে দিলেন।”

কিন্তু সাম্প্রতিককালে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ নিজেই জানিয়েছিলেন, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি অমূলক নয়। আর তারপরেই রাজ্যপাল সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তারপর থেকেই বাংলায় তৃণমূল সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল।

কিন্তু এদিন অমিত শাহকে সেই প্রশ্ন করার সাথে সাথেই সেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্টে জল্পনা বাড়িয়ে তিনি বলেন, “এটা সাংবিধানিক ব্যাপার। তবে এখানে আর 356 ধারা জারি করে কি হবে! কমাস পর তো সরকার এমনিতেই বদলে যাবে।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!