এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা >  অমিত শাহ দিল্লি ফিরলেই কি হতে চলেছে বঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন? জল্পনা তুঙ্গে

 অমিত শাহ দিল্লি ফিরলেই কি হতে চলেছে বঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন? জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কথায় আছে, ইতিহাসের বিভাস পুনরাবৃত্তি হয়। একসময় যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেড থেকে বামফ্রন্টকে সরানোর ডাক দিয়ে মৃত্যুঘন্টা বাজানোর আওয়াজ তুলেছিলেন। তারপর 2011 সালে বহু আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তৃনমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় বসেছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার কলকাতার মাটিতে দাঁড়িয়েই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের “মৃত্যুঘন্টা বেজে গিয়েছে” বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

স্বাভাবিক ভাবেই বাংলা সফরে এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ধরনের মন্তব্য করায় এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করেই বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কেন বাংলায় তৃণমূল সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গিয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। বস্তুত, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 18 টি আসন পাওয়ার পর থেকেই বাংলার দিকে তারা বাড়তি নজর দিতে শুরু করেছে।

মাঝেমধ্যেই বিজেপির নানা নেতার মন্তব্যে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি অমূলক নয়। আর তারপরই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের সঙ্গে অমিত শাহের সাক্ষাৎ সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এমতাবস্তায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারের “মৃত্যুঘন্টা বেজে গিয়েছে” বলে যে দাবি করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তাতে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে।

সূত্রের খবর, এদিন বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে দলীয় কর্মসূচি ছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। আর সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মৃত্যুঘন্টা বেজে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে বলেও দাবি করেন অমিত শাহ। যেখানে তৃণমূল সরকারকে আইনশৃংখলা থেকে শুরু করে কৃষকদের বিষয় নিয়ে কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে অমিত শাহের এই সফরের মাঝেই মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন রাষ্ট্রপতি শাসনের সম্ভাবনা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হয়। আর তার উত্তরে মুকুলবাবু বলেন, “বাংলায় শেষবার 40 বছর আগে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে কি হবে, তা আগাম বলা সম্ভব নয়। রাজ্যে যেরকম দুর্নীতি এবং সন্ত্রাস চলছে, তাতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। সহানুভূতি পাওয়ার কোনো প্রশ্নই তৃণমূলের নেই। পুলিশের লাঠি সরে গেলে পুরো তৃণমূল দলটাই না ঘরে ঢুকে যায়।” তবে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সেভাবে মুখ না খুললেও, যে দিকে ইঙ্গিত যাচ্ছে, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, অমিত শাহ দিল্লিতে যাওয়ার আগেই হয়ত বা বাংলার ক্ষেত্রে এই চরম সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করতে শুরু করেছেন। কেননা মুকুল রায় থেকে শুরু করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সেই ব্যাপারটি নিজেদের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই শীর্ষ নেতা রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে তেমন কোনো মন্তব্য না করলেও, ইঙ্গিত সেদিকে দেওয়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুব দ্রুত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ।

আর যদি এমনটা হয়, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে বলে দাবি সমালোচক মহলের। তবে এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মন্তব্যের পর অমিত শাহ বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!