এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লক্ষ্য লোকসভা ও বিধানসভা, নিজে না এলেও কর্মীদের জন্য অমিত শাহের নির্দেশ এল

লক্ষ্য লোকসভা ও বিধানসভা, নিজে না এলেও কর্মীদের জন্য অমিত শাহের নির্দেশ এল

বিজেপির লক্ষ্য আপাতত ২০১৯ এ বাংলা থেকে যত বেশি সম্ভব আসন জেতা এবং সবশেষে ২০২১ এ গিয়ে রাজ্যের পরিবর্তনের পরিবর্তন করা। আর তাই বাংলায় আরো বেশি করে সময় দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এই এপ্রিল মাসেই তাঁর দু-দুবার বঙ্গ সফরের কথা ছিল, কিন্তু একে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হয়ে গেছে, তার উপরে তিনি নিজে ব্যস্ত কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। তাই আপাতত বঙ্গ সফর বাতিল, কিন্তু তা বলে বাংলা তাঁর নীল-নকশার বাইরে যায় নি বলেই বিজেপি সূত্রের খবর। পঞ্চায়েত নিয়ে রাজ্যজুড়ে কি ঘটছে তার চুলচেরা হিসেব তিনি বাংলার বাইরে বসেই রাখছেন। একইসঙ্গে জেলাস্তর, রাজ্যস্তর এবং ভোটে দলীয় পর্যবেক্ষকদের জন্যও বিশেষ নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন তিনি। যে নির্দেশের মূল কথা – মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে, তাহলেই আসবে কাঙ্খিত সাফল্য।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

বিজেপি সূত্রের আরো খবর, বাংলায় এই মুহূর্তে আসতে না পারলেও নিয়মিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ চলছেই। কোথায় কি হচ্ছে, কত বিজেপি কর্মীর উপর হামলা হচ্ছে, কোথায় কোথায় বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন – সবই নাকি উঠে যাচ্ছে তাঁর নোটবুকে। বিজেপির অন্দরমহল বলছে, পঞ্চায়েতে বিজেপি নেতাদের কাজে খুশি হলে উচ্ছ্বসিত নন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর মতে নাকি আরো ভালো করার জায়গা ছিল। আর তাই ভোট-পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলাস্তরের কোনও নেতা এলাকা ছাড়তে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এমনকি বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার মত কোনও ঘটনা ঘটলে জেলা সভাপতি ও জেলার পর্যবেক্ষকদের সাথেসাথে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। জেলার ঘটনার কথা বিজেপির রাজ্য দফতরে নির্বাচনী কন্ট্রোল রুমে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন, যেখান থেকে তা সরাসরি যাবে তাঁর অফিসে, সেই অনুযায়ী তিনি ঘুঁটি সাজাবেন প্রতিটি বিধানসভা ধরে ধরে। ফলে রাজ্যে না এসেও রাজ্য নেতাদের দৌড় করানো শুরু করে দিয়েছেন অমিত শাহ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!