আলিপুরদুয়ারের মাটি থেকেই বাংলায় ২৩ আসনের স্বপ্ন আবারো উস্কে দিলেন অমিত শাহ উত্তরবঙ্গ বিশেষ খবর রাজ্য March 29, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি দখলের লড়াইয়ে বাংলা যে গেরুয়া শিবিরের কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস যতই ৪২ এ ৪২ করে কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে উৎখাত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার স্বপ্ন দেখুক, গেরুয়া শিবির কিন্তু উল্টে এই নির্বাচন থেকেই বাংলায় ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। আর তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে লোকসভায় বাংলা থেকে অন্তত ২৩ টি আসন জিততে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ জুটি বাংলা জুড়ে ২১ টি জনসভা করার পরিকল্পনায় আছেন। আজ আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে। তিনি বাংলায় ২৩ আসন জেতার অঙ্গীকারের পাশাপাশি, এখানে পরিবর্তনের পরিবর্তন করার অঙ্গীকারও দলীয় কর্মীদের কাছে করে গেলেন। বাংলা দখলই যে বিজেপির পাখির চোখ, তা নিজের বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে প্রমান দিয়ে গেলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, এবার বাংলায় ২৩ টি আসন পাবে বিজেপি। বাংলার জন্য এই নির্বাচন অস্তিত্বের, তৃণমূল সরকারের আমলে গণতন্ত্র এখানে বিপন্ন। বাংলায় গণতন্ত্র থাকবে কিনা, ঠিক করবে এই ভোট। এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলের আমলে ওঠা বিভিন্ন সময়ে ‘দুর্নীতি’ ও ‘তোলাবাজি’ নিয়েও তিনি সরব ছিলেন। তিনি বলেন, মা-মাটি-মানুষের সরকারের স্লোগানে আজ ভরসা নেই কারোর – কেননা এখন তৃণমূল কংগ্রস মানে তোলাবাজি, টোলট্যাক্স আর সিন্ডিকেট। পঞ্চায়েত ভোটে এখানে শুধু হিংসা হয়েছে, বাংলায় এখন শুধু বোমার শব্দ শোনা যায়। এবার আধাসেনার উপস্থিতিতে সবাই ভোট দিতে পারবেন। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। আর তাই, নরেন্দ্র মোদীকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে পদ্মফুলে ভোট দিন, পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিন। পশ্চিমবঙ্গে নতুন দিন, নতুন সকাল নিয়ে আসবেন নরেন্দ্র মোদী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পুলওয়ামার জঙ্গিহানা ও তার পরবর্তীতে ভারতের এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বিভিন্ন বক্তব্য নিয়েও এদিন খোঁচা দিতে ছাড়েননি অমিত শাহ। তিনি বলেন, পাকিস্তানের থেকে গুলি এলেই, এদিক থেকে জবাব দেওয়া হবে – ইঁটের জবাব পাথরে দেওয়া হবে। পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা ভারতীয় জওয়ানদের হত্যা করেছে, তার জবাব দিয়েছে ভারত। আপনারাই বলুন, পুলওয়ামায় ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যুর বদলা নেওয়া উচিত কিনা? পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া উচিত কিনা? মমতা দিদি কিন্তু পাকিস্তানের প্রতি প্রত্যাঘাত চাননি। গত ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্পের হিসেব বাংলার জনতাকে দিতে এসেছি আমি। কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীকে হিসেব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অমিত শাহ আরও বলেন, ভারতবাসীর জন্য ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, কিন্তু মমতা দিদির জন্য আপনারা এখানে বঞ্চিত। মমতাদিদিকে না সরালে এখানে আয়ুষ্মান ভারত আসবে না, মমতা দিদি আপনি বলুন গরিবদের জন্য কী করেছেন? নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আমাদের প্রতিশ্রুতি – বৈধ নাগরিকদের ভয়ের কোনও কারণ নেই, তাঁরা সম্মানে থাকতে পারবেন। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় – সব শরণার্থীরা এখানে আশ্রয় পাবেন। সব হিন্দু শরণার্থীদের সম্মানের সঙ্গে এখানে থাকতে দেওয়া হবে, শরণার্থীদের ভারত থেকে তাড়ানোর ক্ষমতা কারোর নেই। ইমামভাতা থেকে বিজেপিকে আটকানো নিয়েও সরব হন অমিত শাহ এদিন। তিনি বলেন, মমতাদিদি, কজনের মুখ বন্ধ করবেন? একা অমিত শাহের মুখ বন্ধ করবেন? আমাদের হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, এখানে সব কিছুর জন্য তোলা দিতে হয়। তবুও, আপনার সময় শেষ মমতাদিদি – বিজেপিকে কেউ আটকাতে পারবে না, শিকড় সুদ্ধু তৃণমূলকে এবার উপড়ে ফেলার সময় এসেছে। যে বাংলায় রবীন্দ্রনাথের গান, চৈতন্যদেবের কীর্তন শোনা যেত, এখন সেই বাংলাতেই বোমার আওয়াজে ভরে উঠেছে। বাংলায় সরস্বতী পুজো, দুর্গা পুজোর জন্য অনুমতি নিতে হয় তৃণমূলের সরকার থেকে। বাংলায় ইমামদের ভাতা দিচ্ছেন, তবে পুরোহিতদের ভাতা কেন দিচ্ছেন না মমতা দিদি? বাংলায় গণতন্ত্র, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তাই এবার তৃণমূলের হার নিশ্চিত। আপনার মতামত জানান -