এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অমিত শাহের সিবিআই গ্রেফতারি ঘিরে বড়সড় পর্দাফাঁস করলেন দিলীপ ঘোষ

অমিত শাহের সিবিআই গ্রেফতারি ঘিরে বড়সড় পর্দাফাঁস করলেন দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বেশ কয়েকদিন যাবৎ নারদা কান্ড নিয়ে ব্যাপক সরগরম হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। সাম্প্রতিককালে সবথেকে বড় খবর হলো সিবিআইয়ের হাতে রাজ্যের তৃণমূল নেতা, বিধায়কদের গ্রেপ্তারি। গত সোমবার সকালে সিবিআই এর পক্ষ থেকে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করা হয়। হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করার পরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামা। আর এবার তৃণমূলকে পাল্টা একহাত নিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গতকাল হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার হওয়া চার নেতাকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ জারি করেছে।

বাড়িতে থেকেই তাঁরা ভার্চুয়ালি প্রশাসনিক কাজকর্ম করবেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল নেতা মন্ত্রী, বিধায়কদের গ্রেপ্তারের পর সর্মথকরা যেমন ভিড় জমান নিজাম প্যালেসের সামনে, ঠিক সেরকম তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সোজা পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসের অন্দরে। সেখানেই তিনি প্রায় 6 ঘন্টা সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে এই গ্রেপ্তারি নিয়ে বারংবার কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলা হয়, বাংলায় চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। কিন্তু তৃণমূলের সেই অভিযোগ খন্ডন করেছেন এবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সিবিআই এর হাতে ধরা পড়ার ঘটনাটি উল্লেখ করেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের মন্ত্রী থাকাকালীন একটি কেসে সিবিআই এর হাতে ধরা পড়েন। প্রসঙ্গত, সেই সময় গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিলীপ ঘোষ জানান, সিবিআই এর হাতে ধরা পড়ার পর অমিত শাহ কোর্টে যান এবং সেখানেই তিনি তাঁর বক্তব্য পেশ করেন। একই সাথে তিনি নরেন্দ্র মোদিকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, সে সময় বিজেপির পক্ষ থেকে কেউ রাস্তায় নামেনি কিংবা কোন ভাঙচুর করেনি। এমনকি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সিবিআই এর দপ্তরে গিয়ে ধরনা দেননি।

দিলীপ ঘোষের দাবি, এই মুহূর্তে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে যেনতেন প্রকারে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের এই পোষ্টের তলায় নানান জন নানান মতামত জানিয়েছে। কেউ কটাক্ষ করেছেন, আবার কেউ দিলীপ ঘোষকে সমর্থন জুগিয়েছেন। সবমিলিয়ে রাজ্য তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে এবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আসরে নামলেন। ইতিমধ্যেই অবশ্য তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গেরুয়া শিবিরে চিড় ধরতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য কতটা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!