এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আমপানে জমা জল ৩ মাসেও বেড় হল না! আতঙ্কে পাড়া ছাড়তে চলেছেন ১০ হাজার বাসিন্দা? উদাসীন প্রশাসন?

আমপানে জমা জল ৩ মাসেও বেড় হল না! আতঙ্কে পাড়া ছাড়তে চলেছেন ১০ হাজার বাসিন্দা? উদাসীন প্রশাসন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত ২০সে মে রাজ্যে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এর পর তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে কিন্তু এর মধ্যেও হাওড়া পুরসভা লাগোয়া বেশকিছু পঞ্চায়েত অঞ্চল যেমন নিশ্চিন্দা, সাঁপুইপাড়ার বেশ কিছু এলাকা এখনো রয়েছে জলের তলে।

হাওড়া জেলার বালি-জগাছা ব্লকের গ্রাম অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ পাড়া, চট্টলপাড়া, দিঘিরপাড়, নপট্টির মতো অঞ্চল গুলি। এই অঞ্চল গুলিতে প্রায় ১০০০০ মানুষের বাস। তিন মাস ধরে জমে থাকে জলে প্রচন্ড দুর্ভোগ সহ্য করে যাচ্ছেন এই মানুষেরা। যা দৃশ্যত অবর্ণনীয়।

এই এলাকার বাসিন্দাদের কোথাও কোন কাজে বেরোতে গেলে ব্যাগে করে ১ সেট জামাকাপড়, জুতো নিয়ে বের হতে হচ্ছে। এই এলাকার দোতলা বাড়ি গুলোতে কষ্ট করে মানুষ বাস করতে পারলেও, একতলা বাড়িগুলি বসবাসের প্রায় অযোগ্য হয়ে উঠেছে। ঘরের ভেতরে জমা জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই জলের মধ্যে দেখা যাচ্ছে মাছ ও জলজ প্রাণী। সংসারের সমস্ত কাজকর্ম করতে হচ্ছে খাট বা চকির উপরে। কোথাও আবার নিজের বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে মাছ ধরছেন কেউ কেউ। এমনি অবস্থা এই এলাকাগুলির। এই কারণে বহু এলাকাবাসী বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন। কিন্তু যাবার উপায় নেই যাদের তারা এর মধ্যেই কষ্ট করে থেকে যাচ্ছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই এলাকার তৃণমূল যুব নেতা শুভঙ্কর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা সকলেই এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত, কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করছেন না। ফলে সমস্যায় পড়েছে এলাকার মানুষ।

এই প্রসঙ্গে বালি-জগাছা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা ঘোষ জানিয়েছেন, ” ওটা নিচু জায়গা। বাড়িঘর এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, বড় হাইড্রেন করার জায়গা নেই। তবে এ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ”

প্রসঙ্গত, নিশ্চিন্দিপুর সাপুইপারা এই এলাকাগুলি অত্যন্ত নিচু হবার কারণে প্রতিবছরই সামান্য বৃষ্টিতে জল জমে যায় এলাকাগুলিতে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু’বছর আগে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি নিকাশি নালার নির্মাণ করা হয়েছিল এই অঞ্চলটির জন্য। কিন্তু শ্যাওড়াপোতা খালটির সঠিক ভাবে সংস্কার না করায় এই নালাটির থেকে জল বাইরে বেরোতে পারছে না। বরং তা ঘুরে এসে এই এলাকাতাই প্রবেশ করছে, ফলে বাড়ছে সমস্যা।

দক্ষিণ পাড়া এলাকার গৃহবধূ দোলা সরকার, শিপ্রা গিরিরা তাদের এলাকার এই দুরাবস্থা
প্রসঙ্গে বলেছেন, ” এভাবে আর কতদিন চলবে, জানি না। এখানে এভাবে বেঁচে থাকা অসম্ভব। আমরা নিরুপায় বলেই পড়ে রয়েছি। একটু বৃষ্টি হলেই এখানকার রাস্তায় হাঁটুসমান জল দাঁড়িয়ে যায়। আর জল জমলে তা নামতে বহু দিন সময় লাগে। রাস্তার উপর পুরু শ্যাওলা।”

এই এলাকার জনৈক যুবক সায়ন সেনের কথায় জল জমে পথের ওপর শ্যাওলা পুরু স্তর পরায় পথ চলতে গিয়ে গত তিন মাসে হাত-পা ভেঙে গেছে ৬ জনের। এই এলাকাবাসী পারকিনসন রোগে আক্রান্ত শিপ্রা ভট্টাচার্য বহু কষ্টে তাঁর একতলার ঘরে রয়েছেন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রশাসন এই লাকার সমস্ত কিছু দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে, ফলে পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন ঘটছে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!