এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > আমপানে ভুয়ো নথি দেখিয়ে ২ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ প্রভাবশালী বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

আমপানে ভুয়ো নথি দেখিয়ে ২ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ প্রভাবশালী বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে দুর্নীতি নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। করোনা পরবর্তীতে রেশন দুর্নীতি এবং আমফান পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়ে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। তবে এতদিন শাসকদলের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবির দুর্নীতির অভিযোগ করলেও এবার সম্পূর্ণ অন্য ছবি দেখা গেল সুন্দরবনের গোসাবায়। সেখানে সাতজেলিয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রায় দু’কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।

গত নভেম্বরে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় হানা দেয় বুলবুল। সেসময় বুলবুলের তাণ্ডবে প্রচুর কৃষিজমির ক্ষতি হয়েছিল সুন্দরবনে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল সরকারের তরফে। এতদিন পর্যন্ত জানা গিয়েছিল, জমির পরিমাণ অনুযায়ী প্রায় প্রত্যেকেই 15 থেকে 27 হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, গোসাবার সাতজেলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য ও নেতৃত্ব প্রায় 400 কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এই নিয়ে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অচিন পাইক এ ব্যাপারে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁর দাবি, সাতজেলিয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যরা এই দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে গোসাবা জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষ মন্ডল জানিয়েছেন, সাতজেলিয়া জুড়ে এই দুর্নীতি হয়েছে। দ্রুত তদন্ত হওয়া দরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়ে সাতজেলিয়া তৃণমূল প্রধান নিরঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন, সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে জমির মালিকদের কাগজ নিয়ে দুর্নীতি চালানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর কৃষি দপ্তর থেকে শুনানি চালানো শুরু করেছিল। কিন্তু লকডাউন হয়ে যাওয়ায় আপাতত এই বিষয়টি থমকে রয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাতজেলিয়া পঞ্চায়েতে বিজেপি সদস্য হেমন্ত মিস্ত্রি জানিয়েছেন, “এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নয়। আমিও সে সময়ে কাজের জন্য ভিন‌্‌ রাজ্যে ছিলাম।’’

অন্যদিকে বিজেপি গোসাবা ব্লকের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সঞ্জয় নায়েক জানিয়েছেন, নিজেদের দুর্নীতি ঢাকার জন্য শাসকদল পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির কুৎসা রটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন যেভাবে গেরুয়া শিবির তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ জানিয়ে এসেছে, সেখানে এবার বিজেপির দুর্নীতি কান্ড যদি প্রকাশ পায় তাহলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বুকে বিজেপি শিবির অস্বস্তির মুখে পড়বে। আপাতত এই ঘটনা নিয়ে আগামী কয়েকদিন তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে যে ভালোই টানাপোড়েন চলবে, সে কথা মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!