এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > আমপান ক্ষতিপূরণে নতুন দুর্নীতি! নেই কোনো পানের বরজ অথচ পৌঁছে যাচ্ছে টাকা! শুরু শোরগোল

আমপান ক্ষতিপূরণে নতুন দুর্নীতি! নেই কোনো পানের বরজ অথচ পৌঁছে যাচ্ছে টাকা! শুরু শোরগোল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ এর নামে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে বারবার এসেছে বিরোধী পক্ষ থেকে। অভিযোগ করা হয়েছে ঝরে যেসব মানুষের সামান্যতম ক্ষতি হয়নি, তাদের ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যেসব মানুষের প্রকৃত ক্ষতি হয়েছে, যাদের বাসস্থান নষ্ট হয়েছে তারা এই ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ।

কিন্তু এবারে অম্ফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে এল অভিনব এক দুর্নীতির অভিযোগ, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বহু পানচাষি পানের বরজের ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকা পেয়েছেন, অথচ তাদের পানের বারোজ পর্যন্ত নেই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দেখা দেখা গেল এই দৃশ্য। বহু মানুষ যাদের পানের বরজই নেই অথচ তারা পেয়ে গেছেন বরোজের ক্ষতিপূরণের অর্থ।

সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, অম্ফান ঝরে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। আর ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলি মেরামত করার জন্য একশো দিনের প্রকল্প থেকে ৯০ দিনের কর্মদিবস বাবদ ১৮ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষীদের পান বরজ মেরামতের জন্য ৪৯ টি কর্মদিবসে ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

আবার আম্ফান ঝড়ে পান বরজের ক্ষতি হয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষীদের সাহায্যার্থে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড এর পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা করে প্রথমে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এরপর ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা পাঠানোর আগে তাদের কতটা ক্ষতি হয়েছে সেটা যাচাই করে দেখার জন্য সরকারের তরফ থেকে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম বা জিআইএস ব্যবহার করা হয়েছিল।

জিআইএস ব্যবহার করেই সরকারি কর্মকর্তাদের চোখ কপালেওঠার জোগাড় হয়। কারণ অনেক স্থানেই দেখা গেছে যে, পান বরজ না থাকার পরও অনেক ভুয়ো পানচাষির একাউন্টে ৫০০০ টাকা ঢুকে গেছে। এবারে সরকারের তরফ থেকে তাদের আর কোন টাকা দেয়া হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবান ২ ব্লকের বরজ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোলবাগদা বুথের জনৈক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হলেন মঙ্গলময় ভৌমিক। মঙ্গোল বাবুর পরিবারের ৫ জন সদস্য পান বরজের ক্ষতিপূরণ বাবদ জনপ্রতি ৫০০০ টাকা মোট ২৫০০০ টাকা পেয়েছেন। ২ জন সদস্য আবার বাস্থানের ক্ষতিপূরণ বাবদ পেয়েছেন মোট ৪০ হাজার টাকা। এবার জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম চালু করতেই বেরিয়ে এসেছে সত্যিটা।

গত ১৭ ই তাঁরা সংশ্লিষ্ট ডি এম অফিসে ট্রেজারি ফর্ম ফিলাপ করে সমস্ত টাকা ফেরত দিয়ে এসেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ” আমাদের পঞ্চায়েত থেকে সদস্যদের জন্য পান বরজের কিছু কোটা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি সেই ভাগের টাকা ফেরত দিয়েছি।” তবে বরজ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকদেব বেরা এ সম্পর্কে জানিয়েছেন যে, পান বরজের নামে কোন কোটার অস্তিত্বই নেই।

সমগ্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে পান বরজ ও বাড়িঘরে ক্ষতিপূরণের নামে অনেক ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্তর সন্ধান পাওয়া গেছে যারা ইতিমধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ ফেরতও দিয়েছেন। এই জেলার সরকারি টেজারীতে ক্রমশ ফেরত আসছে ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্থের ক্ষতিপূরণের অর্থ।

এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম-১ব্লকের বিডিও সুব্রত মল্লিক বলেছেন, ” অসঙ্গতি থাকলে ১০০দিনের কর্মদিবস বাবদ অর্থ দেওয়া হবে না।” আর এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ট্রেজারি বিষয়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক শেখর সেন জানিয়েছেন, ” এই মুহূর্তে জেলাজুড়ে জিআইএস ট্যাগিং চলছে। কারও ক্ষতিগ্রস্ত পানবরজ না থাকলে তাঁকে কর্মদিবসের টাকা দেওয়ার প্রশ্নই আসছে না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!