এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > আম্পানের তিক্ত স্মৃতি আর নয়, দুর্যোগের আগেই মানুষের পাশে হেভিওয়েট বিধায়ক!

আম্পানের তিক্ত স্মৃতি আর নয়, দুর্যোগের আগেই মানুষের পাশে হেভিওয়েট বিধায়ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রায় এক বছর আগে ঠিক এই সময় করোনা ভাইরাসের সংকটজনক মুহূর্তে আছড়ে পড়েছিল আম্ফান নামক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। যার প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কারণে বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন সেই তিক্ত স্মৃতি বয়ে বেড়াতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। তবে এবার আবারও এক বছরের মাথায় করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছে, তখন ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

সেদিক থেকে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ ঝড়ের মোকাবিলা করতে এখন থেকেই আসরি নেমে পড়েছেন কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল। সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে এবং বিপদে তাদের ভরসা জোগাতে বিধায়কের এই উদ্যোগ কার্যত সাধুবাদ যোগ্য বলে জানাচ্ছেন সকলে।

জানা গেছে, রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা প্রশাসন এখন থেকেই এই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করতে বৈঠক শুরু করে দিয়েছে। প্রায় এক বছর আগে কুলতলিতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের জন্য ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তবে এবার যাতে তা কিছুটা আটকানো যায়, তার জন্য বাড়তি মোকাবিলা শুরু করে দিয়েছে বারুইপুর প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং পানীয় জল যাতে স্বাভাবিক রাখা যায়, তার জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে যশ আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস দেওয়ার পরেই মানুষের পাশে থাকতে জান-প্রাণ লাগিয়ে দিচ্ছেন কুলতলির বিধায়ক গনেশচন্দ্র মন্ডল। এদিন তিনি বলেন, “গত বছরের ঘূর্ণিঝড় থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার যশ মোকাবিলা করতে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। নদীবাঁধগুলোর উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। যে কোনো দরকারে সাধারণ মানুষ আমাকে জানাতে পারেন। অর্থাৎ এর আগে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর কোনো জনপ্রতিনিধিদের মানুষের পাশে থাকতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। তবে এবার যাতে তা না হয়, তার জন্য আগে থেকেই বাড়তি ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের পাশে থাকতে দেখা গেল গণেশবাবুকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এক বছর আগেকার তিক্ত স্মৃতি এখনও কাটেনি। উপকূল এলাকার মানুষ ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমফান থেকে উঠে মাথার ছাদ তৈরি করে বসবাস করতে শুরু করেছেন। কিন্তু তার মধ্যেই আবার আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে যশের আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস। একদিকে করোনা, অন্যদিকে যশের আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

তাই প্রশাসন থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি সকলেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। যার জেরে কুলতলির বিধায়ক গনেশচন্দ্র মন্ডলকে মানুষের বিপদে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতে দেখা গেল। স্বাভাবিক ভাবেই বিধায়কের এই ধরনের উদ্যোগ এবং জনতার পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করার প্রবণতা দেখে কিছুটা হলেও আশ্বাস পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!