এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > চার মাস বাদেও আমপান দুর্নীতিতে ঘুম উড়েছে প্রশাসনের! ধরা পড়লেই করা হচ্ছে অ্যাকাউন্ট ‘হোল্ড’

চার মাস বাদেও আমপান দুর্নীতিতে ঘুম উড়েছে প্রশাসনের! ধরা পড়লেই করা হচ্ছে অ্যাকাউন্ট ‘হোল্ড’


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আম্পান চলে গেছে চার মাস আগে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই আম্পান নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ শেষ হয়নি প্রশাসনের কাছে। সম্প্রতি কোথাও দেখা যাচ্ছে আম্ফানের জন্য ক্ষতিপূরণ পাননি অনেক মানুষ, আবার অনেক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তবুও ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন কিছু মানুষ। এমন অনেক অভিযোগে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে বলে জানা গেছে। আর সেই অভিযোগ মত কড়া ব্যবস্থা নিতে ছাড়েন নি তাঁরা।

সম্প্রতি ক্ষতি হয়নি তবুও ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন এমন ১০০ জন একাউন্ট হোল্ডারের নাম জমা পড়েছিল কাঁথি মহকুমা অফিসে। আর সেই অভিযোগ করে কাঁথি মহকুমাশাসক স্বয়ং এফআইআর করেছেন বলে জানা গেছে। যার পরে সেই সমস্ত উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্ট হোল্ড করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। একদিকে যেখানে এমন খবর এসেছে, সে রকম অন্যদিকে নন্দীগ্রামে ক্ষতিপূরণ তালিকায় নাম থাকা সত্বেও উপভোক্তা টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন একজন।

সেখানে সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট নাম্বারের বদলে অন্য একজনের একাউন্টে পৌছে গেছে সেই টাকা। কিছুদিন আগে শাসকদলের বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হতে দেখা গেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। তবে আম্পান দুর্নীতিতে কাঁথি মহকুমা শাসকের এমন পদক্ষেপ নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কাঁথি শহরের ২১ টি ওয়ার্ডে আম্পানের ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রায় ১০০ জন ভুয়ো প্রাপক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন বলে জেলাশাসকের অফিসে অভিযোগ জমা পড়ে এবং তার বিরুদ্ধে জেলাশাসক পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনকে একাধিকবার সরকারি অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হলেও সাড়া না মেলায় পরবর্তীকালে তাদের ব্যাংক একাউন্ট হোল্ড করা হয় বলে জানা যায়। কিছুদিন আগে কাঁথি জেলার চারজন মহকুমা শাসক এবং ২৫জন ভিডিওকে নিয়ে একটি মিটিং করা হয় এবং কাঁথি শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে মহকুমাশাসক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এর আগেও অগাস্ট মাসের গোড়ার দিকেও এমন অভিযোগ তুলে এফআইআর করেন তিনি। তাতে কয়েকজন ক্ষতিপূরণ প্রাপকের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত এরকম কুড়িজন উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্ট হোল্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম থাকলেও ব্যাংকে টাকা ঢোকেনি নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আকন্দবাড়ী গ্রামের বাসিন্দার। এরপর সমস্যার কথা জানতে চাইলে জানা যায়, তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে তিনবার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেও এখনো পর্যন্ত প্রশাসক সে কথায় কান দেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তাঁর কথায় তিনি ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হওয়াতেই, এমন কাজ করা হয়েছে বলে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্যদিকে কাঁথি মহকুমা শাসকের কথায়, কাঁথি পুরএলাকায় ক্ষতিপূরণ প্রাপকের তালিকা তাঁরাই চূড়ান্ত করেছিলেন। তাই একই ব্যক্তি একাধিকবার অর্থ পেয়েছেন বা একই পরিবার একাধিকবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, এমন লোকেদের প্রথমে নোটিস পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়। একাধিকবার নোটিস পেয়েও যাঁরা সরকারি অর্থ ফেরত দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে কাঁথি থানার পুলিশের তরফে জানা গেছে যে আপাতত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!