এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > আমপান ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা যাচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি নেতাদের অ্যাকাউন্টে! তুমুল বিক্ষোভ নদীয়ায়

আমপান ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা যাচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি নেতাদের অ্যাকাউন্টে! তুমুল বিক্ষোভ নদীয়ায়


বারবার তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে, ত্রাণ নিয়ে যাতে কোনো দুর্নীতি না হয়। ইতিমধ্যেই দলের তরফে নেতাকর্মীদের কড়াভাষায় সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এই বিষয়ে অস্বস্তি কমছে না তৃণমূল কংগ্রেসের এবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা আসলেও, তার অনেকটাই স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রী এবং বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল।

যে ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে নদীয়ার শান্তিপুরের বেলগড়িয়া 2 পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাদের এলাকায় যে কুড়ি জনের নাম পাঠানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়াও পঞ্চায়েত প্রধান দীপক মন্ডলের স্ত্রী পদ্মা মন্ডল, উপপ্রধান বিপ্লব প্রামানিকের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ এবং পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যের পরিবারের লোকজন টাকা পেয়েছে।

আর এদের পরিবারের ভয়াবহ দুর্যোগের তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও, কেন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকল, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন সাধারণ বাসিন্দারা। একাংশ বলেছেন, কিছুদিন আগেই কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র ফেসবুক ভিডিওতে ত্রানে ক্ষতিপূরণ নিয়ে যাতে কোনো দুর্নীতি না হয়, তার জন্য সকলকে সতর্ক করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এবার সরকারের কাছে ভয়াবহ দুর্যোগের বিধ্বস্ত মানুষদের তালিকা পাঠানোর পরেও কেন সেই তালিকায় তৃণমূল এবং বিজেপি সদস্যের নাম থাকল এবং তারা টাকা পেলেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি তৈরি হয়েছে? কেন তারা টাকা পেলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান দীপক মন্ডল অবশ্য অন্য যুক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের ব্লকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা অনেক বেশি। সেজন্য আমরা স্থির করেছি, পরিচিত কয়েকজনের ক্যাকাউন্টে এই টাকা জমা রেখে পরে তা আরও বেশিসংখ্যক ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ভাগ করে দেব।”

কিন্তু নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা নেওয়ার কোনো অধিকার কি তার রয়েছে? যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা চলে যাবে, সেখানে তিনি কেন তাঁর অ্যাকাউন্টে সেই টাকা গ্রহণ করলেন? এদিন এই ব্যাপারে দীপকবাবু কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে শাসকদল যে অনেকটাই চাপে পড়েছে, তা জেলা নেতাদের কথাতেই স্পষ্ট।

এদিন এই প্রসঙ্গে শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, “যদি কোনো দুর্নীতি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই ব্যাপারে সবাই আশ্বস্ত থাকতে পারেন।” অন্যদিকে এই বিষয়ে তৃনমূলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, “তৃণমূলের লোকজন এইসব করে নিজেরা লুটে পুটে খাচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের কাদের নাম কেন আছে, তারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কিনা, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

সব মিলিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার কড়া বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও, এবার যেভাবে তৃণমূল প্রধানের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ঢুকে গেল, তাতে সরকারি সাহায্য নিয়ে এখন উঠতে শুরু করল বিস্তর প্রশ্ন। এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!