এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আমরা চলি সমুখ পানে, কে আমাদের বাঁধবে? রইল যারা পিছুর টানে কাঁদবে তারা কাঁদবে: শুভেন্দু অধিকারী

আমরা চলি সমুখ পানে, কে আমাদের বাঁধবে? রইল যারা পিছুর টানে কাঁদবে তারা কাঁদবে: শুভেন্দু অধিকারী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজনৈতিক মহলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের এবং দলনেত্রীর কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, এবং তা নিয়ে চলছে জল্পনা দলের অন্দরেও। তৃণমূল শিবিরে অবশ্য ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদলের সাথে রাজ্যের শীর্ষ কমিটিতে শুভেন্দু অধিকারীর জায়গা হলেও এই মুহূর্তে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে থাকছে প্রশ্ন।

তবে প্রশ্ন যাই থাকুক না কেন, শুভেন্দু অধিকারী বরাবরই দলের কিংবা নিজের জনসংযোগ কর্মসূচিতে কোন খামতি দেননি। স্বাধীনতা দিবসের দিনও তাঁকে সেরকমই একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গেল। তমলুক শহরের রাজবাড়ী ময়দানে আয়োজন করা হয়েছিল ‘ফ্রীডম অ্যাট মিডনাইট’ অনুষ্ঠান। আর সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী স্বয়ং। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী করোনা পরিস্থিতে এই জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের মনোনীত 300 টি ক্লাবকে পালস অক্সিমিটার, ডিজিটাল থার্মোমিটার ও প্রেসার মাপার যন্ত্র তুলে দিলেন।

এদিন পরিবহণ মন্ত্রী স্বাস্থ্য দফতর মনোনীত ক্লাবগুলিকে আবেদন করেন, এলাকার প্রত্যেক মানুষের যাদের শরীরে করোনার উপসর্গ টের পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা এবং তাপমাত্রা যেন নিয়ম করে পরীক্ষা করা হয়। উল্লেখ্য 2013 সাল থেকে প্রতিবছর 14 ই আগস্ট তাম্রলিপ্ত স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হয়। তাম্রলিপ্ত স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে তমলুক রাজবাড়ী ময়দানে ‘ফ্রীডম অ্যাট মিডনাইট’ পালন করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শুভেন্দু অধিকারী এদিন সতীশ সামন্ত ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জেলার মানুষের জন্য কি কি করা হয়েছে এতদিন ধরে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট দেন। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সাহায্য ছাড়াও রাজ্যের নটি জেলায় এক লক্ষ 40 হাজার পরিবারকে পাঁচদিনের রেশন ও মাস্ক তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। এর সাথে সাথেই মন্ত্রী এ দিন তমলুকের স্বাধীনতার ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন সাধারণের সামনে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী উদ্ধৃত করেন, ‘আমরা চলি সমুখ পানে, কে আমাদের বাঁধবে? রইল যারা পিছুর টানে কাঁদবে তারা কাঁদবে।’

প্রসঙ্গত জনপ্রিয়তার নিরিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই নাম আসবে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। তবে প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী আরো ব্যাপকভাবে সামাজিক কাজকর্ম শুরু করেছেন তাতে কি তৃণমূল নেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের জনপ্রিয়তা আরো বিপুলভাবে বাড়িয়ে তোলায় মন দিলেন? আপাতত মনে করা হচ্ছে, বিতর্ককে সামনে রেখে জনসেবার মাধ্যনে একুশের বিধানসভার দিকেই মন রেখেছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!