অঞ্চল সভাপতি বদল নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জ্বলছে অসন্তোষের আগুন, জল্পনা দলের অন্দরেই উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচন, অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দুইয়ের টানাপোড়েনে এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসকদলের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরমধ্যেই এবার চোখে পড়ছে তৃণমূলের অসমন্বয়। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যা থেকে তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ প্রকাশিত। ঘটনার সূত্রপাত উত্তরবঙ্গের অঞ্চল সভাপতিকে সরানো নিয়ে। সম্প্রতি একটি ফুটবল খেলার উদ্বোধনে উপস্থিত হন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ফুটবল খেলার উদ্বোধন করতে এসে অভাবনীয়ভাবে তিনি অঞ্চল সভাপতি বদলের ঘোষণা করেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত বিতর্ক দলের অন্দরেই। একইসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বাবুর কাজের সমালোচনা করেছেন উত্তরবঙ্গের জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। অন্যদিকে নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কোন সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়েই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, অঞ্চল সভাপতিকে দেখা করার কথা বললেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেখা করেননি তাই বদল করতে হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত দেওচড়াই অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন ফারুক মন্ডল। তাঁকে পরিবর্তন করে সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিয়ে এলেন মজিবুর রহমানকে। অন্যদিকে প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ফারুক মন্ডল রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তীব্রভাবে। তিনি বিধায়কের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের জেদের কারণে বহুবার তৃণমূলের ক্ষতি হয়েছে। এর আগে লোকসভা নির্বাচনেও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কারণেি কোচবিহারে হারের মুখ দেখে তৃণমূল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় এদিন জানিয়েছেন, কোনো মন্ত্রী অঞ্চল সভাপতি বদলের ঘোষণা করতে পারেন না। কারণ অঞ্চল সভাপতির অনুমোদন এবং তাঁর নিয়োগ পত্র দেন জেলা সভাপতি। এলাকার বিধায়ক হিসেবে অঞ্চল সভাপতির নাম তিনি সুপারিশ করতেই পারেন, কিন্তু অনুমোদনের এক্তিয়ার শুধুমাত্র জেলা সভাপতির। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কোন সমালোচনা কানে না তুলেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, অঞ্চল কর্মীরা নতুন সভাপতি চাইছেন। পুরনো অঞ্চল সভাপতি দেখা করেননা বহুবার বলা সত্ত্বেও। সে কারণেই নতুন অঞ্চল সভাপতি ঘোষণা হয়েছে। উপরন্তু তিনি পার্থপ্রতিম রায়ের সমালোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন, বিধায়ক হিসেবে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন অঞ্চল সভাপতিকে তিনি লিখিতভাবে নিয়োগপত্রও দিয়েছেন বলে জানান। উপরন্তু তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজের এক্তিয়ার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরবঙ্গ এমনিতেই তৃণমূলের দূর্বলতম জায়গা। বিধানসভা নির্বাচনে এলাকার কর্তৃত্ব ফিরে পেতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছেন দলের সংগঠন আরো দৃঢ় করতে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে ফল হচ্ছে উল্টো। সে ক্ষেত্রে সংগঠনের ভিত নড়বড়ে হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। অন্যদিকে এই ঘটনার কথা দলীয় নেতৃত্বের কানে যাবার পর ঘটনার মোড় কোনদিকে নেয়, সেদিকেই এখন লক্ষ্য রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -