এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > প্রাচীন ভারতে আধ্যাত্মিকতার মোড়কে আসলে ছিল বিজ্ঞান সাধনা? একের পর এক উদাহরনে চমকে যাবেন!

প্রাচীন ভারতে আধ্যাত্মিকতার মোড়কে আসলে ছিল বিজ্ঞান সাধনা? একের পর এক উদাহরনে চমকে যাবেন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার চশমা পড়ে আমরা প্রযুক্তি বিজ্ঞানকে আধ্যাত্মিকতা থেকে আলাদা করে দেখতে শিখি। আমরা মনে করি, যেন প্রযুক্তিবিদ্যা ও আধ্যাত্মিকতা – দুটো দুই ভিন্ন মেরুর বিষয়। আর এই দুটি একে অন্যের হাত ছেড়ে পৃথক হয়ে যাওয়ার ফলে কী ফলাফল হলো সেটা অনুমান করতে বেশি মাথা ঘামাতে হয় না। প্রযুক্তিবিজ্ঞান হয়ে উঠল মানবিক অনুভূতিহীন এবং আধ্যাত্মিকতায় জমে উঠলো আত্মমগ্নতা ও কুসংস্কার! আর একটা সময় দুটো ভিন্ন ধারা দুটো ঘোড়া হয়ে টেনে নিয়ে চললো কূটনীতির বিজয় রথ। সেই রথের চাকার তলায় চাপা পড়ে প্রাণ হারায় কতো নিরীহ মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ, সর্বপরি প্রকৃতি!

কিন্তু ভাবুন একবার প্রাচীন কালের সেই ফেলে আসা ভারতবর্ষের কথা! এক সময় এই দেশেই আবিষ্কৃত হয়েছিল শল্য বিদ্যা, ‘শূন্য’, জ্যোতীর্বিদ্যা, আরো কতো কী! প্রসার লাভ করেছিল পদার্থবিদ্যা, গণিত,রসায়ন,যোগ,শারীরবিদ্যা। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, সেই সব প্রাচীন বিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিদ, গণিতবিদ ও চিকিৎসক-রা প্রায় সকলেই ছিলেন ঋষি! ঋষি কণাদ কবেই লিখে গেছেন পরমাণুর অস্তিত্বের কথা তাঁর বৈশেষিক দর্শনে! এটা আলাদা কথা যে তখন আামাদের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে ‘পেটেন্ট’ সিস্টেম ছিল না।

ভাবছেন, এতো গৌড়চন্দ্রিকার কারণ কী। বেশ, তবে আসল কথায় আসি। ভারতবর্ষ এমন একটি দেশ যেখানে প্রাচীন কাল থেকেই আধ্যাত্মিকতা ও বিজ্ঞান সাধনার মেলবন্ধনে উদ্ভাসিত হয়েছে জ্ঞান। আজ প্রাচীন ভারতের এমন কিছু ধর্মীয় নিদর্শনের কথা বলবো যার ছত্রে ছত্রে মিশে আছে তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রমাণ। দেখি, আপনারাও সহমত হন কিনা!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

১. ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারের কথা আমরা সকলেই প্রায় অল্প বিস্তর জানি। শ্রী বিষ্ণুর বরাহ অবতারের কথা মনে পড়ে? বিষ্ণুপুরাণ থেকে পাওয়া বর্ণনা অনুসারে, বিষ্ণু বরাহ ( শূকর) রূপে পৃথিবীতে অবতীর্ন হয়ে প্রলয়কালীন সমুদ্রে ডুবে যাওয়া বেদকে নিজের দাঁতের সাহায্যে তুলে নিয়ে এসে রক্ষা করেন পৃথিবীর জ্ঞানের বাহককে। আপনার মনে হতেই পারে, এগুলো তো গল্প কথা! না, আমি মোটেই সেই তর্কে যাচ্ছি না৷ আমি যেটা দেখাতে চাইছি, বর্ণনা অনুযায়ী বরাহ দেব দাঁতে করে যে পৃথিবীকে তুলে আনেন সেই পৃথিবী গোলাকার। তবেই ভাবুন, আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে বাকি পৃথিবী যখন জানতো পৃথিবী চ্যাপটা প্লেটের মতো, তখন কোনো টেলিস্কোপ ছাড়াই ভারতবাসী জানতো, পৃথিবীর অবয়ব বৃত্তাকার!

২. প্রাচীন রীতি অনুযায়ী সেই সময় নব দম্পতিরা বিবাহের রাতে একসঙ্গে অরুন্ধতী নক্ষত্র দেখতো। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে এই দিন অরুন্ধতী তারা দেখলে দাম্পত্য জীবনে সুখ শান্তি বজায় থাকে। পুরাণ মতে অরুন্ধতী ছিলেন ঋষি বশিষ্ঠের অন্যতম প্রিয় স্ত্রী যিনি চিরকাল তার স্বামীকে পরিক্রমা করেন। সেই অরুন্ধতী নক্ষত্রের সাথে জুড়ে থাকে আরেকটা তারা যাকে বশিষ্ঠ মুনি রূপে দেখা হয়। এই দুটি তারা সবসময় জুড়ে থাকে। আধুনিক জ্যোতির্বিদরা “জমজ নক্ষত্র ” বা “টুইন স্টার”-এর কথা বলেন। ভেবে দেখুন, কতো হাজার বছর আগে পুরাণে গল্পের আঙ্গিকে এই টুইন স্টারের কথা বলা ছিল!

এখানেই শেষ নয়, প্রচুর এরকম নিদর্শন আছে যেখানে প্রাচীন ভারতের প্রযুক্তিবিদ্যার জ্ঞান আজও বিস্ময় জাগায়। ধর্ম আর বিজ্ঞান কতো অনায়াসে একধারায় মিশে ছিল এই দেশের মাঠে ঘাটে, পর্বত শৃঙ্গে, তপবনে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!