এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > অন্যদলের নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে স্বাগত, কিন্তু দায়িত্বে বা পদে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ আদি বিজেপিরাই?

অন্যদলের নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে স্বাগত, কিন্তু দায়িত্বে বা পদে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ আদি বিজেপিরাই?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল সহ অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে নেতাকর্মীদের আসার প্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হতে শুরু করেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নতুন যারা দলে আসছে, তারাই গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছে বলে নানা বিজেপি নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে অন্য দল থেকে আসা নেতাকর্মীদের স্বাগত জানানো হলেও, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে একেবারে নিজের লোকদেরই বেছে নিতে হবে বলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিজেপির গোপন সূত্রে অন্তত তেমন খবরই পাওয়া যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের নবাবহাটের কাছে এক উপনগরী একটি হোটেলে বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর সেখানেই অন্য দল থেকে নেতাকর্মীদের যোগদানের প্রক্রিয়া একদম নিচুতলা পর্যন্ত হচ্ছে কিনা, তার খোঁজ খবর জানতে চান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। শুধু তাই নয়, বৈঠকে কিভাবে সেই সমস্ত কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা হবে, সেই ব্যাপারেও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় বলে খবর।

তবে এতদিন বিজেপির একাংশের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, দলে যারা নতুন আসছে, তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হচ্ছে, তা যে একেবারেই হবে না, তা এদিনের বৈঠক থেকে আভাস পাওয়া গেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, “প্রতিটি বুথে একেবারে বিজেপির নিজস্ব লোক বলে পরিচিত দশজনকে নিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ রয়েছে। সেখানে অন্য দল থেকে আসা কর্মীদের নেওয়ার কথা বলা হয়নি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এই অবস্থান স্পষ্ট যে, অন্য দল থেকে যতই নেতাকর্মীরা বিজেপিতে আসুন না কেন, বিজেপি নিজেদের শৃংখলার বাইরে কখনও বের হবে না। অর্থাৎ সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ এবং দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ পুরনো কর্মীদেরকেই যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুথ কমিটির দায়িত্ব দিতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা একপ্রকার পরিষ্কার বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

তবে শুধুমাত্র সংগঠনকে যে সাজিয়ে তুললে হবে না, তাও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে সেই সংগঠন কিভাবে সাজানো হল, তার বিশদ ব্যাখ্যা আরএসএসের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যার জন্য প্রথমে জেলাস্তরে আরএসএস-এর সঙ্গে বৈঠক করে কোন বুথে কিভাবে সংগঠন তৈরি হবে, তার রণনীতি ঠিক করতে হবে। আর তারপরেই সেই রিপোর্ট পৌঁছে দিতে হবে রাজ্যস্তরে।

এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার এক বিজেপি নেতা বলেন, “সাংগঠনিক কার্যকলাপের জন্য প্রতি সপ্তাহে আরএসএসের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ রয়েছে। ধীরে ধীরে সেই বৈঠক বিধানসভা করে নামানো হবে।” অর্থাৎ একটা জিনিস পরিষ্কার যে, বিজেপি তাদের নীতি থেকে শুরু করে নির্ধারণ, সমস্ত কিছু আরএসএসের ওপর নির্ভর করেই করে। অন্তত বর্ধমানে বিজেপি সভাপতির উপস্থিতিতে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!