আজ কর্ণাটকের ১৫ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা। কর্ণাটকে বহু নাটকের পর আপাতত ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতাসীন। কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকতে গেলে এই ১৫ টি আসনের মধ্যে ন্যূনতম ৬ টি আসনে বিজেপিকে জিততেই হত। নাহলে কর্নাটকে আবারো হত পালাবদল।

যদিও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা দাবি করেছেন, বিজেপি এই ১৫ টির মধ্যেণ্টত ১৩ টি আসনে জয়ী হবে। প্রসঙ্গত, এই ১৫ টি আসনেই বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন হয় কংগ্রেস অথবা জেডিএস প্রার্থী। কিন্তু কুমারস্বামী সরকারের ফ্লোর টেস্টের সময় ১৭ বিধায়ক পদত্যাগ করলে – সরকার গঠন করে বিজেপি।

সেই ১৭ আসনের মধ্যে ১৫ টি আসনে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে আজ। এই ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৩ টি আসনেই বিজেপি কংগ্রেস-জেডিএসের বিদ্রোহী প্রাক্তন বিধায়কদের টিকিট দিয়েছে। ফলে, আজ সারাদিনই টানটান উত্তেজনা কর্ণাটক নিয়ে। ইয়েদুরাপ্পা ১৩ টি আসনে জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করলেও, বিজেপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে বা এগিয়ে আছে ১২ টি আসনে।

হুনাসুরু আসন থেকে কংগ্রেসের এইচ পি মঞ্জুনাথ জয়ী হয়েছেন। শিবাজিনগর আসন থেকেও কংগ্রেসের রিজোয়ান আরশাদ বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন। সংখ্যালঘু এলাকা হওয়ায় এই আসন থেকেও কংগ্রেস জয়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, সবাইকে চমকে দিয়ে হোসকোটে আসন থেকে বিপুল ভোটে এগিয়ে থেকে জয়ের দোরগোড়ায় নির্দল প্রার্থী শরথ বাচেগৌড়া।

সূত্রের খবর সরকারিভাবে তাঁর জয়ের ঘোষণা হলেই তিনি যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। তিনি বস্তুত এই উপনির্বাচনে বিজেপির টিকিটেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি তাঁকে টিকিট না দিয়ে এন নাগারাজুকে টিকিট দেয়। কিন্তু, হোসকোটে অঞ্চলে বাচেগৌড়া পরিবারের জনপ্রিয়তার সামনে টিকতে পারলেন না এন নাগারাজু। আর তাই, কর্ণাটকে বিপুল জয়ের পাশাপাশি আরও এক বিধায়ককে নিজেদের দলে পেতে চলে খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে।