এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মামলা চলাকালীন ফের নিয়োগের বিজ্ঞাপন, ফের আইনি জটে আরেকটি সরকারি চাকরির নিয়োগ

মামলা চলাকালীন ফের নিয়োগের বিজ্ঞাপন, ফের আইনি জটে আরেকটি সরকারি চাকরির নিয়োগ

রাজ্যের বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আদালতের আইনি জট যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছে না – আর এবার, মামলা চলার মাঝেই ফের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় ফের এক নতুন বিতর্ক মাথাচাড়া দিল রাজ্যে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে খাদ্য দপ্তরে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ফুড ইন্সপেক্টর পদে ১,০৩১ টি শূন্যপদ রয়েছে বলে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।

সূত্রের খবর, এরমধ্যে ৩৩৯ টি পদ জমিহারা পরিবারের সন্তানদের জন্য ধার্য হয়। এদিকে সেই বছরেরই জুলাই মাসে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়, মৌখিক পরীক্ষার সময় ‘এগজেমটেড ক্যাটাগরির’ বেশ কিছু প্রার্থীর নথি নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। আর এই জটিলতার মাঝেই ফের ৮৯২ জনকে নিয়োগের জন্য স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়। যার মধ্যে সেই ‘এগজেমটেড ক্যাটাগরির’ প্রার্থীসংখ্যাই ছিল ৮৯ জন। সূত্রের খবর, এদের নিয়োগ ২০১৫ সালে হলেও ২৩০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্নরূপে থমকে যায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জানা যায়, এই ২৩০ জন প্রি-অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়েও কাজে যোগ দিতে পারেননি। কেননা ২০১৭ সালে ফের এদের নিয়ে একটি প্যানেল প্রকাশিত হলে সেইসময় এসএসসির বদলে পিএসসিকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার দ্বায়িত্ব দেয় রাজ্য। আর এরপরই এই চাকরীপ্রার্থীরা দ্বারস্থ হন স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যালের। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং মেডিক্যাল বাদে তাঁদের চাকরিতে যোগ দেবার জন্য বাকি সব কাজই সম্পন্ন। এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইবুন্যালের পক্ষে বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়।

২৪ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলেও মৌখিকে কেন এত কম নম্বর পেলেন এবং কেনই বা এতদিন পরে তৈরি হল এই প্যানেল – এই প্রশ্ন তুলে সিআইডিকে তদন্তের দ্বায়িত্বও দেওয়া হয়। আর এরপরই সিআইডির তরফে একটি রিপোর্টে বলা হয়, গুরুতর কোনো ব্যাপার নেই। তবে মনে করলে স্থানীয় থানাকে দিয়ে তদন্ত করে দেখা যেতেই পারে। আর এরপরেই এসএসসির বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে এই বিভ্রান্তিতে পড়ে ফের ট্রাইবুন্যালের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা।

মামলার ফলাফলের ওপর এই প্রার্থীদের ভবিষ্যত নির্ধারিত হওয়ার দাবি জানান চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবি সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অপরদিকে এরকম হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে বলে জানান সরকারি আইনজীবি। সূত্রের খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১২ ই নভেম্বর। ফলে, শারদোৎসবের মাঝে আপামর বাঙালি অনাদি কাটালেও – চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে সুগভীর চিন্তায় আপাতত টেটের মামলার দিকেই তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!