এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আরও এক হেভিওয়েট বিধায়ক এবার বিদ্রোহী শিবিরে? তৃণমূলের ঘুম আরও উড়তে চলেছে? জল মাপছে বিজেপি

আরও এক হেভিওয়েট বিধায়ক এবার বিদ্রোহী শিবিরে? তৃণমূলের ঘুম আরও উড়তে চলেছে? জল মাপছে বিজেপি


সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতির বদল ঘটতে দেখা যাচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলায়। সমস্যা শুরু জলপাইগুড়ি পৌরসভায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুর প্রশাসক পদে না থাকা নিয়ে। যে ঘটনায় জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণীর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন সেই মোহন বসু। আর এর পরেই তার বাড়িতে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে কেন্দ্র করে তীব্র জল্পনা ছড়ায়।

তবে মোহন বসু যাতে বিজেপিতে যোগ না দেন, তা আটকাতে ইতিমধ্যেই তার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলে জল্পনা উত্তরবং জুড়ে। তবে তার দলবদল নিয়ে নানা জল্পনা ছড়ালেও তৃণমূল থেকেই এখন কিষাণ কুমার কল্যানীকে চাপে রাখতে উদ্যোগী মোহন বসু। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতারা সেই মোহনবাবুর সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেছেন বলে জল্পনা বাড়ছে।

বিভিন্ন ব্লক, টাউনের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তার সঙ্গে দলের একাধিক বিধায়ক যোগাযোগ রাখছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই তার সাথে দেখা করে গিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। আর এবার আরেক তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীও তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি করলেন সেই মোহন বসু। যার ফলে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে মোহনবাবুর টিম দানা বাঁধতে শুরু করেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর মোহন বসুর এই পৃথক টিম তৈরির উদ্যোগ দেখে এখন রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি তিনি তৃণমূলে থাকবেন, নাকি তার শক্তিশালী টিম গঠন করে তিনি যোগ দেবেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে? কিছুদিন আগেই তার বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপির দীপেন প্রামাণিক‌। মোহন বসুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা ছড়ালে তিনি বলেন, “আমরা রাজনীতির টানে তার কাছে যাইনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে গিয়েছিলাম। এই বিষয়ে আমি এখনই কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য করব না।”

এদিকে এই ব্যাপারে যাকে নিয়ে এত গুঞ্জন, সেই মোহন বসু বলেন, “আমি এদিন ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। বাড়িতে অনেকে দেখা করতে এসেছিলেন। বিজেপি তাদের কাজ করতেই পারে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার সঙ্গে অসংখ্য জেলার নেতা-নেত্রী, ব্লক সভাপতি, বিধায়করা রয়েছেন। আরও কয়েকজন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। দুই-একজন রাজ্য নেতার সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে।”

মোহনবাবু আরও জানান, “গৌতমবাবু ঘুরে যাওয়ার পর তারা আমাকে ফোন করেছিলেন। সকলকেই আমি আমার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। জলপাইগুড়ি জেলাকে নতুন করে সাজাতে হবে। কিষান কল্যাণীর নেতৃত্বে আমরা দল করব না।” কিছু তার বিরুদ্ধে মোহনবাবু যেভাবে সোচ্চার হচ্ছেন, তাতে তো তার চাপ আরও বাড়ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী বলেন, “আমরা করোনা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। অধিকাংশ বিধায়ক আমাকে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, তারা এসব পছন্দ করছেন না।”

তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, “কার সঙ্গে কার কথা হয়েছে, জানি না‌। 100% ব্লক সভাপতি আমার সঙ্গে রয়েছেন। যারা করোনা নিয়ে কাজ করছেন, মানুষের পাশে আছেন, তারা সকলে আমার সঙ্গে রয়েছেন। আমার ঘরে কোনো ক্ষতি নেই। আমার ঘর গোছানোই আছে। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন।” তবে জেলা তৃণমূলের সভাপতি যে কথাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে তৃণমূলের অন্দরে মোহন বসুর পদক্ষেপকে নিয়ে তীব্র জল্পনা তৈরি হচ্ছে। কেননা জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় জানিয়েছেন, আমরা সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরেই নজর রাখছি। ফলে জলপাইগুড়ির মোহন বসু পর্ব শেষপর্যন্ত কোনদিকে বাঁক নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!