এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অ্যানসার প্লিজ – (লাভ স্টোরি) – কলমে অপরাজিতা-পর্ব ৬

অ্যানসার প্লিজ – (লাভ স্টোরি) – কলমে অপরাজিতা-পর্ব ৬


কিছুক্ষন পর খোওয়া দাওয়া হলো, না আর কথা হলো না দীপশিখার সাথে। শ্রাবনীকে কি একটা বললো দীপশিখা, শ্রাবনী প্রচন্ড আপত্তি জানালো , অরিত্রদা সামাল দিলো। দীপশিখা ভেতরে গেলো কিছুক্ষন পর শাড়ী ছেড়ে চুড়িদার পরে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে এলো।

অনিন্দিতা বৌদি – একই ব্যাগ নিয়ে কোথায় যাবে?

দীপশিখা – আমাকে যেতে হবে, কাজ আছে

শ্রাবনী – কিছু বলার নেই আমার, দাঁড়া অরিত্র দিয়ে আসছে।

দীপশিখা সবাইকে বই বলে অরিত্রর সাথে চলে গেলো।

এত ভিড়ের মাঝেও একা হয়ে গেল অভ্র। কিন্তু এভাবে চলে গেলো কেন?হয়তো কাজ আছে।

অনেক খাবার দাবার বেঁচে গেছেতাই ঠিক হলো রাত্রে সবাই খাওয়া দাওয়া করেই বাড়ি যাবে, আর তাই আজ খেলা হবে না।

রাত্রে বাড়ি ফিরলো অভ্র। ফ্রেশ হয়ে এসেই বসেছে ফেসবুক নিয়ে।

দীপশিখা অন আছে,

অভ্র – এখনো রেগে আছে ?

দীপশিখা -এ মি তোমার গ্রিলফ্ৰেন্ড নয় যে রেগে থাকবো

অভ্র – আসলে আমি ভয়ে বলিনি যে আমি ডাক্তার

দীপশিখা -??

অভ্র – তোমার প্রোফাইলে অনেক পোস্ট দেখলাম, মনে হলো তুমি ডাক্তার বিরোধী সো আমি ডাক্তার জানলে হয়তো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করবে না তাই বলিনি।

দীপশিখা – কি করে বুঝলে আমি ডাক্তার বিরোধী?

অভ্র – আরে অনেকগুলো পোস্ট দেখলাম, যেমন – কোনো এক ডাক্তার প্রাইভেট প্রাকটিস করছিলো হসপিটালে আসেনি সো পেসেন্ট মারা গেছে , বা ডাক্তাররা কেয়ার করেনি বলে পেসেন্ট মারা গেছে , এইসব

দীপশিখা – আমি ভুল কিছু লিখেছি

অভ্র -রাগ করছ কেন? আমি বলেছি ভুল করেছো

দীপশিখা – কথার ডাক্তার তুমি ?

অভ্র – হসপিটালের নাম বললো

দীপশিখা – আচ্ছা

অভ্র- তুমি চলে এলে কেন?

দীপশিখা – কাজ ছিল

অভ্র – নাম্বারটা এবার তো দাও,শুনলে তো আমি খুব ভালোছেলে

দীপশিখা – শুনলাম তোমার বাকি কীর্তিও

অভ্র – আমি তখন ছোট ছিলাম, এখন বড় হয়ে গেছি, ভালো হয়ে গেছি

দীপশিখা – দেব না, তুমি প্রথম থেকে ঐভাবে ভয় দেখলে কেন?

অভ্র – সরি, আর হবে না কান মূলচি

দীপশিখা- ওই কর্ণাটকের ভাষায় কি বললে?

অভ্র – সত্যি বলবো নাকি মিথ্যা ?

দীপশিখা – সত্যি আবার কি !

অভ্র – ওওকে , বললাম তোমার বোনকে ভালোবাসি

দীপশিখা – কি? এক চড় মারবো না টেনে,আমি তোমার সাথে প্রেম করছি?

অভ্র – আমি বলেছি তুমি আমার সাথে প্রেম করছো, আমি বলেছি আমি ভালোবাসি , সিরিয়াসলি তুমি বিশ্বাস করো না করো আমি পাগলের মতো ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে।

দীপশিখা – মেন্টাল হসপিটালে যোগাযোগ করো।

অভ্র – আমার মেন্টাল হাসপাতাল তুমি, তুমি হ্যাঁ না বললে ঠিক হেব না , বলবে?

দীপশিখা – সত্যিই তোমাকে পেটাতে হবে
অভ্র – এড্রেস বলো

দীপশিখা -কি?

অভ্র – তোমার মেসে এড্রেস বলো মারবে বললে পৌঁছে যাচ্ছি

দীপশিখা – অনেক রাট হয়েছে রাখো ঘুমাও বাই

অভ্র – যা বাবা কোথায় রাত এই তো ১১ টা বাজে।

দীপশিখা – ১১ টা অনেক রাত

অভ্র – আচ্ছা শোনো না প্লিজ দাও না নাম্বারটা।

দীপশিখা – অন্য কিছু বলার আছে ?

অভ্র – হুম

দীপশিখা – আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ে যায়

দীপশিখা – ফের ?

অভ্র – ওকে, আমাকে তোমার বই ফ্রেন্ড করে নাও

দীপশিখা – শোধরাবে না , না ?

অভ্র – ওকে ফাইনাল আমাকে বিয়ে করে নাও , যেমন বলবে তেমন থাকব।

দীপশিখা – তোমার বাড়িতে জানলে না, আর বাড়ি ঢুকতে দেবে না ?

অভ্র – কেন?

দীপশিখা – ওই যে বিয়ে করবে এখনই

অভ্র – আমার বাড়িতে জানে আমার বিয়ে হয়ে গেছে ?

দীপশিখা – ??

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভ্র – আরে আমাদের বাড়ির লোক একটু পাগল, আমার এক বন্ধুর বিয়েতে ধুতি পাঞ্জাবি পরে গেছি, বরের টোপর নিয়ে আমার মাথায় পরিয়ে দিয়েছে আর সেই সময় পিকচার তুলে আমাকে ট্যাগ করেপোস্ট করে দিয়েছে। আমার কাকার ছেলে সেটা দেখে বাড়িতে ,বাইরে বলেছে মাই নাকি বিয়ে করে ফেলেছি

দীপশিখা- হা হা ,দেন

অভ্র – তারপর পরের দিন আমাকে কল করে বলে খুব দরকার বাড়ি আয়, বাড়ি গেছি বাবা দরজা খুলে বললো। কোই গো এসেছে তোমার গুণধর ছেলে, বরণডালা নিয়ে এস। আমি কিছুই বুঝলাম না, খালি ভাবছি আবার কি করলাম !

মা কেঁদে বলে তুই এমন করতে পারলি? কোথায় কাকে বিয়ে করেছিস? একবার জানানোর প্রয়োজন মনে করলি না ?

বাবা চেচাচ্ছে – সাবালক , আর মানবে কেন? দুদিন পর বলবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও, নির্লজ্জ বিয়ে করে ফেসবুকে ফটো পোস্ট হচ্ছে

আমি – কি ফটো, আমি কাউকে বিয়ে করিনি

বাবা – ডাকো তো শুভকে (কাকার ছেলে ),

আমি ততক্ষন ভাবার চেষ্টা করলাম কোন ফটো মনে পড়লো না, শুভ এসে ,দেখালো বুঝলাম, যাদের বিয়ে হচ্ছিলো তাদের পিকচার দেখলাম, না আমরা যা বুঝেছি সেটাই ফাইনাল
কি বলবো

দীপশিখা – আর কি কি গুন্ অসহ তোমার ?

অভ্র – আরে আমি সত্যি বিয়ে করিনি ,

দীপশিখা – সে তো বুঝলাম কিন্তু বিশ্বাস করেন কেন? বাড়িতে ?

অভ্র – জানিনা ,ইগনোর বলছি ভাবলে?

দীপশিখা – ভাবলাম

অভ্র – কি ভাবলে ?

দীপশিখা – তোমাকে ভাই ফোঁটায় নেমতন্ন করবো, ফোঁটা দেব ?

অভ্র – তার থেকে একটা দড়ি দাও গলায় দিয়ে ঝুলে পড়ি

 

দীপশিখা – অনেক রাত হয়েছে বাই

 

অ্যানসার প্লিজ – (লাভ স্টোরি) – কলমে অপরাজিতা-পর্ব ৫

 

অ্যানসার প্লিজ – (লাভ স্টোরি) – কলমে অপরাজিতা-পর্ব ৭

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!