এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কবিতা না লিখে তাঁর বিরুদ্ধে লেখায় শঙ্খ ঘোষের বিরুদ্ধে ফের ক্ষোভ অনুব্রতর

দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কবিতা না লিখে তাঁর বিরুদ্ধে লেখায় শঙ্খ ঘোষের বিরুদ্ধে ফের ক্ষোভ অনুব্রতর

বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মন্ডল বলেছিলেন তাঁর জেলায় বিরোধীরা কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না, কেননা রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকবে। সেই নিয়ে সমালোচনা হলে তিনি বলেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলাজুড়ে তথা রাজ্যজুড়ে করা উন্নয়নের কথা বলেছেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, মনোনয়ন পর্বে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতেই পারেনি, দিলেও পরে সবাই প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আর এই জন্য বিরোধীরা দাবি করেন, অনুব্রত মন্ডলের নির্দেশে একদল ‘উন্নয়ন’ মুখে গামছা বা মাথায় হেলমেট পরে জেলা জুড়ে সন্ত্রাস করেছে। বিরোধীদের মার, প্রাণের হুমকি, ছুড়ি মারা, এমনকি প্রাণনাশের মত ঘটনাও ঘটেছে। জেলা জুড়ে বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েতের লক্ষ্যে সীমাহীন সন্ত্রাস করেছেন তিনি বলে বিরোধীরা অভিযোগ আনেন।

আর সেইসবের পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ ‘উন্নয়ন’ নিয়ে একটি কবিতা লিখে, কারোর নাম না করেও অনুব্রত মন্ডলের এই ‘উন্নয়ন-তত্ত্বকে’ তীব্র কটাক্ষের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। যা সাধুবাদ কুড়িয়ে নেয় সুধীজন-সমাজের। তার পরিপ্রেক্ষিতে, এক দলীয় প্রচার সভায় অনুব্রত মন্ডল প্রশ্ন তোলেন – কে এই শঙ্খ ঘোষ? তিনি শঙ্খ নামের অপমান। আর তা নিয়েও ঝড় ওঠে বিশিষ্ট সমাজে। কিন্তু তাতে যে অনুব্রত মন্ডলের কিছু এসে যায় না – তিনি যে স্বমহিমায় বিরাজমান তা আবার প্রমান করে দিলেন। শঙ্খ ঘোষকে চূড়ান্ত অপমানিত করেও যে তিনি অনুতপ্ত নন, বরং নিজের কাজে তিনি যে গর্ববোধ করেন তা আবার জানিয়ে দিলেন। উল্টে আবারো প্রশ্ন তুলে দিলেন কবি শঙ্খ ঘোষকে নিয়ে।

বাঁকুড়ার এক জনসভা থেকে গতকাল অনুব্রত মন্ডল বলেন, শঙ্খ ঘোষকে আবার বলছি উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। উনি কবি হলে সবার কবি হোন। একটা দলের কবি হবেন কেন? দিলীপ ঘোষ যখন ছাল ছাড়িয়ে নুন মাখাবো বলে তখন কেন কবিতা লেখেন না? ভয় দেখাবেন না, ভয় পাই না। চোখ দেখাবেন না, মানব না। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!