এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > কমিশনকে এবার নকুলদানা দেখিয়ে চতুর্থবারের শোকজের মুখে অনুব্রত, থিম সংয়ের ছাড়পত্রের আবেদন বিজেপির

কমিশনকে এবার নকুলদানা দেখিয়ে চতুর্থবারের শোকজের মুখে অনুব্রত, থিম সংয়ের ছাড়পত্রের আবেদন বিজেপির


লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজার পরপরই এই নির্বাচনে নকুলদানা খাওয়ানোর দাওয়াই দিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শিরোনামে চলে এসেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিরোধীরা এর মধ্যে প্রচ্ছন্ন হুমকির কথা বলে সেই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর তারপরই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা তাঁকে শোকজও করেছিলেন।

আর পরপর তিনবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট শোকজ হলেও তিনি যে তার অবস্থান থেকে সরবে না তা ফের আরও একবার‌ প্রমান করে স্বয়ং “নির্বাচন কমিশনকেই নকুলদানা খাওয়ানোর” কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন। আর যার জেরে এবার ফের সেই অনুব্রত মণ্ডলেরকে শোকজ করবার জন্য বীরভূমের জেলাশাসককে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।

বস্তুত, প্রায় প্রতিটা নির্বাচনেই বিতর্কিত মন্তব্য করবার জন্য নির্বাচন কমিশনের নজরদারিতে থাকেন এই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। আর এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও তার কোনো রুদ্ধদ্বার ব্যতিক্রম হল না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে শুধু অনুব্রত বাবুই নয়, কিছুদিন আগেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে থিম সং করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়।

যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমানে সেই বিজেপির থিম সংটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন নানা বিচার বিবেচনা করছে। তবে এবার নিজেদের দলের এই থিম সংকে যদি প্রকাশ করা হয় তার জন্য সেই কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, বিজেপির এই গানের মধ্যে তৃণমূল সম্পর্কে কিছু আপত্তিকর শব্দ থাকায় তা যাতে বদলে ফেলা হয় তার জন্য কমিশন থেকে গেরুয়া শিবিরকে প্রস্তাব দেওয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর যদি কমিশনের এই প্রস্তাব গেরুয়া শিবির না মানে, তাহলে এই গানের কোনোরূপ অনুমোদন দেবে না নির্বাচন কমিশন বলেই জানা গেছে। অন্যদিকে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরকে মূক ও বধির বলে আক্রমণ করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতা মুকুল রায়। জানা গেছে, মুকুল রায়ের এই বক্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যেই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না হওয়ায় নির্বাচন কমিশনে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। সব মিলিয়ে একদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য, আর অন্যদিকে রাজ্যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এখন কি পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!