এ কোন নতুন কবি উঠে এসেছে? শঙ্খ ঘোষকে নজিরবিহীন অপমানকর আক্রমন অনুব্রতর রাজ্য May 10, 2018 রাজ্যের অস্থির পরিস্থিতি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে কবিতা লিখে রাজ্যের শাসক দলের প্রতিনিধির বিরাগ ভাজন হলেন বর্ষীয়ান কবি।বুধবার পুরুলিয়ার বরাবাজারে দলের এক জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতাপশালী নেতা তথা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল অত্যন্ত রূঢ় ভাষায় রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে কবিতা লেখার জন্যে কবি শঙ্খ ঘোষ’কে ভৎসনা করলেন। অনুব্রত মন্ডল এদিনের প্রকাশ্য জনসভা থেকে বললেন, “উন্নয়ন নিয়ে কবিতা লিখে কবি শঙ্খ ঘোষ শঙ্খ নামের অপমান করেছেন।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সূচনা লগ্ন থেকেই মনোনয়নপর্বকে ঘিরে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী রয়েছে রাজ্যবাসী সহ রাজনৈতিক মহল।নজরকারা ভাবেই মোট আসনের ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীদের অভিযোগ শাসক দলের সন্ত্রাসের কারণে তাঁদের মনোনয়নপত্র পেশে বাধা এসেছে যার ফলস্বরূপই এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভের দৃষ্টান্ত। শাসক দলের পক্ষে বীরভূম জেলায় এই সন্ত্রাসের নেপথ্যে অনুব্রত মন্ডল বলে বিরোধীদের দাবি। বিরোধীদের কোনো অভিযোগ মানতে নারাজ অনুব্রত বাবু একাধিক বার বলেছেন ,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এত উন্নয়ন করেছে, যে রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। তাই বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি।” এই মন্তব্যকে বিষয় করেই রাজ্যের প্রাক নির্বাচনী পর্বের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে কবিতা লেখেন শঙ্খ ঘোষ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে যেখানে একটি লাইন রয়েছে “রাস্তা জুড়ে খড়গহাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন। ” যে কারণেই মূলত অনুব্রত বাবুর রোষের শিকার হলেন এই বর্ষীয়ান কবি বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। অনুব্রত বাবু এদিনের জনসভায় প্রবীন কবি’কে উদ্দেশ্য করে আরো বললেন, ” বড় বড় কথা বলছে এক কবি। এ কোন কবি? আমরা তো কবি বলতে জানতাম রবীন্দ্রনাথ, নজরুল। এ কোন নতুন কবি উঠে এসেছে? যে আমার ‘উন্নয়ন’ নিয়ে কথা বলছে। যখন দিলীপ ঘোষ বলছে মেরে চামড়া গুটিয়ে নুন-লঙ্কা দিয়ে দেব, তখন কবি কোথায়? কবির নাম শঙ্খ রাখা ঠিক হয়নি। শঙ্খ নামের অপমান করছেন তিনি। আমি এখনও বলছি রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। ঘর থেকে বের হলেই উন্নয়ন দেখতে পাওয়া যায়।” উল্লেখ্য এদিন অনুব্রত বাবু পুরুলিয়ার বরাবাজারের বানজোড়ায়, বরাবাজারের সিন্দরি এবং বলরামপুর সহ মোট তিনটি জনসভা করেন। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সবক’টি আসনে ভোট হচ্ছে। এছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশ আসনে ভোট গ্রহণ হবে। বীরভূমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভের সাথে পুরুলিয়ার সব আসনে বিরোধীদের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারার ঘটনার তুলনা করে অনুব্রত বাবু বললেন, “”বীরভূমে জেলা পরিষদে ৪২টি আসন। একটিতেও মনোনয়ন দিতে পারেনি বিরোধীরা। এই জেলায় কেন হল না?” তবে এদিনের সব কটি ভাষণের বেশিরভাগ জুড়েই ছিলো রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান। আপনার মতামত জানান -