এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অনুব্রত-গড়ে পঞ্চায়েতে জিতেই তৃনমূলের উন্নয়নে শামিল হচ্ছেন বিরোধীরা

অনুব্রত-গড়ে পঞ্চায়েতে জিতেই তৃনমূলের উন্নয়নে শামিল হচ্ছেন বিরোধীরা


বীরভূম জেলার পঞ্চায়েতে বিরোধী শূন্য করার ডাক দিয়েছিলেন জোড়াফুল শিবিরের দাপুটে নেতা তথা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। কিন্তু দুটি পঞ্চায়েতে হার হল তৃণমূলের। এলাকা দুটো গেছে বিজেপির ঝুলিতে। এ হার বরদাস্ত করতে পারলেন না তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা। তাই এর বদলে ১৬৭ টা পঞ্চায়েত এলাকায় জোড়াফুলের ঝান্ডা উড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, কীভাবে গেরুয়াপার্টির জয় হল ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁর কারণ অনুসন্ধান করতে তিনি এদিন জরুরি জেলা কমিটির বৈঠক ডাকেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

বৈঠক শেষ হওয়ার পর দেখা যায় কিছু বেনজির ছবি। নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের ২ জন নির্দল কর্মী তৃণমূল দলে ভীড়ে যান। শুধু তাই নয় বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেলো। বামেদের তরফের ২৫০ জন বিজয়ী প্রার্থী হাইআলি খানের নেতৃত্বে যোগ দেন  জোড়াফুলদলে। কিন্তু বামফ্রন্টের তরফ থেকে জেতার পর কেন তিনি দল পরিবর্তন করলেন? এই প্রশ্নের উওরে তিনি জানান, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হয়ে কাজ করতে চাই মানুষের জন্য। তাই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত।” জানা গেছে বীরভূমের মহম্মদবাজারের পুরানো গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৩ টি আসনের ভিতর ৯ টি রয়েছে তৃণমূলের দখলে। এছাড়া ২ টি ঘাঁটি গেড়েছিল বিজেপি এবং একটিতে সিপিএম আর ১ টি তে ফরওয়ার্ড ব্লক। এর ভিতর ১৩ নং সংসদে কুবিলনগরের বামদেরর তরফের নতুন নির্বাচিত প্রার্থী হাইআলি খানের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনায় হকচকিয়ে গেছে বাম শিবির। অনুব্রত মন্ডলের মতো দাপুটে তৃণমূল নেতার এলাকায় বিরোধীরা ভোটে জিতেও ছাড়ছেন দলের সাথ। ঘাসফুলের উন্নয়নে গা ভাসাতে এভাবে বিরোধীদের নিজেদের দল ত্যাগ করার ফলে এলাকার বিরোধী শিবিরের শক্তি কমবে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!