এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অনুব্রত ও তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে কি বীরভূম নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন?100% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জল্পনা

অনুব্রত ও তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে কি বীরভূম নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন?100% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জল্পনা

নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই বীরভূম জেলাকে সন্ত্রাস কবলিত জেলা বলে দাবি করে সেখানে নির্বাচনের সময় প্রতি বুথেই যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায় তার আর্জি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানিয়ে এসেছে বিরোধী দলগুলো। আর এবার আগামী 29 এপ্রিল সোমবার এই বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্র বীরভূম এবং বোলপুরে ভোটগ্রহণ পর্বের আগে বুধবার সেই বীরভূম এলেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক।

সূত্রের খবর, এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বীরভূমে গিয়ে ডিএসএ মাঠে এসে সেখান থেকে সোজা বীরভূম জেলার প্রশাসনিক ভবনে চলে যান নির্বাচন কমিশনের এই বিশেষ পর্যবেক্ষক। আর সেখানেই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে 10 মিনিট করে একান্তে বৈঠক করেন তিনি বলে জানা গেছে।

আর ওই বৈঠকেই বিরোধীদের তরফে একযোগে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বীরভূমের লোকসভা ভোটের সমস্ত বুথে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায়, তার জন্য দাবি জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফে পুলিশ প্রশাসনের একাংশকে বদলি করারও আবেদন জানানো হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে শাসক দলের তরফে নির্বাচনের তিন দিন আগে ঝাড়খন্ড সীমানাকে সিল করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। আর কমিশনের পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়ে এসে কি আলোচনা হল, এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী বলেন “আমরা 100% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি লাভপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি।”

একইভাবে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার আবেদন তারাও নির্বাচন কমিশনের কাছে জানিয়েছেন বলে জানান বীরভূমের সিপিএমের জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য গোকুল ঘোষ। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপির প্রতিনিধি সুরজিৎ ঘোষ বলেন, “আমরা প্রতি বুথে যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার কথা বলেছি, ঠিক তেমনি গত পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তার যাতে এবার আর কোনো পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্যও কমিশনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে রাধাবল্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন সময়ে ঝাড়খন্ড থেকে দুষ্কৃতীরা ঢুকে জেলায় অশান্তি সৃষ্টি করে। তাই ভোটের দিন যাতে সীমানাকে সিল করে দেওয়া হয়, তার জন্য আমরা কমিশনকে বলেছি।” এদিকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা শাসকের সঙ্গেও এদিন বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক।

আর এরপরই তিনি বলেন, “আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। জেলার ভোট প্রস্তুতি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আশা করি বীরভূমে ভালোই ভোট হবে।” তবে অজয় নায়েক এই ভোট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ভোটপর্ব শান্তিতে মেটে কিনা সেদিকেই নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!