এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রত গড় কি বিজেপির প্রধান টার্গেট? নয়া পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা!

অনুব্রত গড় কি বিজেপির প্রধান টার্গেট? নয়া পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গোটা রাজ্যের মধ্যে নির্বাচন আসলেই সব থেকে বেশি বিরোধীদের অভিযোগ থাকে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বীরভূম জেলাকে নিয়ে। যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধী নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, এই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে এখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। তবে বিরোধীরা যে অভিযোগই করুক না কেন, ভোটবাক্সে তৃণমূলের দিকেই যে সমর্থন থাকে বীরভূম জেলায়, তা বারেবারে প্রমান করে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলাকে যেন পাখির চোখ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

সারা রাজ্যে ক্ষমতা দখল এবং ভালো ফলাফল করার যেমন টার্গেট করেছে বিজেপি, ঠিক তেমনই অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসকে কুপোকাত করতে রীতিমতো ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, মঙ্গলবার আবার রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা‌। যেখানে তার এই সফরে তিনি প্রথম বীরভূমে যাবেন বলে খবর রয়েছে।

কিন্তু বারবার বিজেপির হেভিওয়েট শীর্ষ নেতারা কেন রাজ্যে এসে বীরভূম জেলাকে বেছে নিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক কর্মসূচি করছেন? অনেকে বলছেন, আসলে অনুব্রত মণ্ডলকে যাতে বীরভূম জেলাতেই আটকে রাখা যায়, তার কৌশল গ্রহণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কেননা নির্বাচনের আগে এই অনুব্রত মণ্ডলের চমকপ্রদ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের কর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত হন।

সেদিক থেকে শুধু বীরভূম নন, অনেক জেলাতেই তৃণমূলের হেভিওয়েট স্টারদের মধ্যে প্রচারের তালিকায় থাকেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু বীরভূম জেলায় বিজেপির শীর্ষ নেতারা পা রেখে সেখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি করে অনুব্রতবাবুর চাপ বাড়িয়ে দিতে চাইছেন। এক্ষেত্রে তিনি যাতে অন্য কোনো জেলায় গিয়ে শাসকদলের ভোটব্যাঙ্কের শ্রীবৃদ্ধি করতে না পারেন, তার জন্যই বিজেপির এই কৌশল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, আগামী কাল মঙ্গলবার রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। যেখানে বুধবার বীরভূমের মল্লারপুরে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। অন্যদিকে 12 ফেব্রুয়ারি সেই বীরভূমের দুবরাজপুরে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির এবং সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতারা এইভাবে বীরভূম সফর করায় রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।

তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দূরের কথা, বিজেপি এখন অনুব্রত মণ্ডলকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাই বীরভূমকে টার্গেট করে তারা বিভিন্ন সফর করতে শুরু করেছেন। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। বীরভূমের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষেই সমর্থন দেবেন। সব মিলিয়ে বাংলা সফরের পাশাপাশি বাংলার মধ্যে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের শক্ত ঘাঁটি বীরভূমকে বিজেপি নেতৃত্ব বেশি পরিমাণে টার্গেট করায় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!