হাওয়া বদলাচ্ছে? অনুব্রত-গড়ে তাঁর হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে সভা অনিচ্ছুক কৃষকদের মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য September 1, 2018 অনুব্রত গড়ে অসন্তোষের শিকার কৃষকদের একাংশ। ‘শিল্প হলে জমি দেব,না হলে জমি ফিরিয়ে দিতে হবে।’ এই দাবী তুলে সভা করেন তাঁরা। অগ্রাহ্য করলেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের হুঁসিয়ারীও। শিল্পের বদলে আবাসন হলে তাঁরা এক চুলও জমি ছাড়বেন না, এমনটাই বক্তব্য তাঁদের। এমনকী সিঙ্গুর মডেলে প্রশাসনকে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দেন তাঁরা। একই দাবী তুলে ১৯ আগষ্ট শিবপুরে সভা করেছিলেন জমি দানে অনিচ্ছুক চাষীরা। সভার পরদিনই শিবপুরে মিছিল করে কৃষকদের শাসানি দিয়ে এসেছেন অনুব্রত মন্ডল। হুঁসিয়ারী মন্তব্যে জানিয়েছিলেন,’উন্নয়নে বাধা দিলে ছাড়ব না।’ কিন্তু সে হুঁসিয়ারীকে পাত্তা দিলেন না চাষীরা। তাঁদের দাবীতে অটল চাষীরা। প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে ২০০২ সালে শিল্পের জন্য শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে বোলপুরের শিবপুর মৌজায় ৩০০ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছিল। সেসময় বিরোধী দলের হয়ে জমিঅধিগ্রহনের বিরুদ্ধে কৃষকদের সমর্থনে পথে নেমেছিলেন অনুব্রত মন্ডল। পালাবদলের পর রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেখানে ক্যামিক্যাল হাব তৈরি করার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সে পরিকল্পনা নস্যাৎ করে ‘গীতবিতান’ নামের এক আবাসন প্রকল্প তৈরির কথা ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরে এক প্রশাসনিক বৈঠকে বসেই তিনি এ সিন্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কৃষকদের একাংশ। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে শিল্প হলেই জমি দেবে,নয়তো প্রশাসনকে জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। এই দাবী তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনিচ্ছুক চাষীরা। মামলা চালাকালীন সেই জমির সমস্তরকম নির্মান কাজ এবং প্লট বুকিং এর কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় কোলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সে আদেশ উপেক্ষা করে অবাধে চলছে নির্মান ও পল্ট বুকিং কাজ। এমনটাই অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে,আইনজীবী শৈলেন মিশ্র জানিয়েছেন, কৃষকদের জমি জোর করে অধিকার করে নেওয়া আইনত অপরাধ। কৃষকদের কাছ থেকে শিল্পের নামে যে জমি অধিগ্রহন করা হয়েছিল,তাতে শিল্পই হোক এমনটাই দাবী তাদের। কিন্তু রাজ্যসরকার কথার খেলাপ করে আবাসন তৈরি করছে। তাই কৃষকদের দাবী অনুযায়ী শিল্প না হলে অবিলম্বে জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। আপনার মতামত জানান -