এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রত, জিতেন্দ্রকে জেলে পোড়ার হুমকি বিজেপি নেতার! মন্তব্য করে গুরুত্ব বাড়াতে নারাজ তৃণমূল

অনুব্রত, জিতেন্দ্রকে জেলে পোড়ার হুমকি বিজেপি নেতার! মন্তব্য করে গুরুত্ব বাড়াতে নারাজ তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে চড়া সুরে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে। আর আগামী দিনের রাজনৈতিক যুদ্ধকে মাথায় রেখে বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমশ বেড়েই চলেছে দাবী রাজনৈতিক মহলের অনেকের। একুশের বিধানসভায় মসনদ দখলের লড়াইতে নামতে এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল আঁটঘাট বাঁধতে শুরু করেছে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে একুশের বিধানসভার নির্বাচনে মসনদ দখল।

অন্যদিকে তৃণমূলও পিছিয়ে নেই। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে তাঁরা। এই অবস্থায় বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরকে একচুলও জমি ছাড়তে নারাজ। সোমবার জামুড়িয়ার চিঁচুড়িয়ায় দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনে যান বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং সেখান থেকেই তিনি এবার পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে করলেন লাগাতার আক্রমণ। এর আগে একইভাবে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলকেও সরাসরি আক্রমণ করেন বলে জানা যায়।

এদিন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনে এসে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অনুব্রত মণ্ডল ও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন। অন্যদিকে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে ঘিরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি অসংযত কথা বলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, এসব কথার মন্তব্য করে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো মানেই হয়না। জানা গিয়েছে, এদিন ঝাড়গ্রামে বিজেপির পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই বৈঠকে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন বিজেপির আসানসোল জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই। জানা গিয়েছে, এদিন জামুড়িয়ার চিঁচুড়িয়া ডাঙালপাড়ায় বিজেপির পক্ষ থেকে জামুরিয়া দু’নম্বর মন্ডলের নেতৃত্বে থাকা কুড়িটি ক্লাবকে একটি করে ফুটবল দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জানা গেছে, এলাকার ছয়টি গ্রামের ছটি মন্দিরকে একটি করে এলইডি আলো এবং 50 টি পরিবারের হাতে একটি করে ত্রিপল তুলে দেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে বিজেপি এদিন দাবি করেছে, চিঁচুড়িয়ায় এই বৈঠকে তৃণমূল থেকে প্রায় দু’শো কর্মী সমর্থক এবং রানীগঞ্জের পলাশবন থেকে সিপিএম-তৃণমূল ছেড়ে প্রায় চল্লিশটি পরিবার এসে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। যদিও দলবদল নিয়ে পাণ্ডবেশ্বর তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্পষ্ট ভাষায় দলবদলের ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে সিপিআইএমের পক্ষ থেকেও জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য প্রবীর মন্ডল জানিয়েছেন, পলাশবন থেকে কেউই সিপিএমে এই মুহূর্তে যুক্ত নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই দল ছেড়ে বিজেপিতে প্রবেশ করার কোন প্রশ্নই উঠছে না।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছেন রাজনৈতিক মঞ্চে তা অত্যন্ত শ্রুতিকটু বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূলকে চাপে ফেলার জন্যই এ ধরনের মন্তব্য উঠে আসছে বারংবার। আপাতত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ময়দানে তৃণমূলকে টক্কর দেওয়ার জন্য গেরুয়া শিবির যে পুরোপুরি প্রস্তুত, সেকথা বারংবার তাঁরা বুঝিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!