এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার কি অনুব্রত মন্ডলও বিজেপিতে? ‘ফাঁস’ হয়ে গেল গোপন তথ্য? শুরু তীব্র রাজনৈতিক জল্পনা!

এবার কি অনুব্রত মন্ডলও বিজেপিতে? ‘ফাঁস’ হয়ে গেল গোপন তথ্য? শুরু তীব্র রাজনৈতিক জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে চলেছে, ততোই শাসকদল তৃণমূলে ক্রমশ বাড়ছে গোষ্ঠী কোন্দল। দলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন বহু হেভিওয়েট। একটার পর একটা উইকেট পড়ার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে শাসকদল তৃণমূল। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে আসতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী, এমন একটি গুঞ্জন বারবার করে ভাসছে রাজ্য রাজনীতিতে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আরও বেশ কিছু তৃণমূল নেতার নাম শোনা যাচ্ছে, যারা জার্সি বদল করতে পারেন। তাঁরা হলেন মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্ত, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, বনশ্রী মাইতি, রণজিত মন্ডল প্রমূখরা। এমনকি এই তালিকাতে আছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত। এবার এই তালিকায় উঠে এলো বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম।

গতকাল এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানালেন যে, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিজেপিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, বিজেপিতে আসার ব্যাপারে তিনি বার্তা দিয়েছেন বেশ কিছু বিজেপি নেতাকে। এমন কথাও নাকি তিনি বলেছেন যে, তাঁর জন্য দলে যেন একটা জায়গা রাখা হয়। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানালেন যে, সিনেমা শেষ হয়ে যাবার পর, হল থেকে বেরোবার মুখে ক্রমশই ভিড় বাড়তে থাকে। সবাই তখন বেরোবার গেটের দিকে চলে আসেন। যাতে শো শেষ হলেই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়তে পারেন। তৃণমূল দলেরও এখন এই অবস্থাই। দলের অধিকাংশ নেতা মন্ত্রী এক্সিট গেটের সামনে চলে এসেছেন।

তবে, সঞ্চালক যখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, অনুব্রত মন্ডল যদি সত্যিই বিজেপিতে আসতে চান, তাহলে তাঁকে বিজেপি স্বাগত জানাবে কিনা? এর উত্তরে জয়প্রকাশ মজুমদার জানালেন যে, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভবিষ্যতের ব্যাপার। অনুব্রত মণ্ডল হিংসার রাজনীতি করে থাকেন, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করেন। আর এ কারণেই অনুব্রত মণ্ডলের তুলনায় অনেক বেশি আন্তরিক শুভেন্দু অধিকারী কিংবা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি দলের কাছে।

অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, অনুব্রত মণ্ডল বহুদিন ধরে মারামারির রাজনীতি করেছেন। কবি শঙ্খ ঘোষকে বাজে কথা বলেছেন। তৃণমূল দল চলে গেলে, তাঁর আর কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না। সে কারণে বিজেপিতে আসার চেষ্টা রয়েছে তাঁর। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, তাঁরা আগেই তাঁকে বিজেপিতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন যে, তাতে ফলে ফলেছে, কিন্তু সেই ফল এখনও পাকেনি। সেই ফল পাকলে তা খাওয়া হবে? না পুজোতে দেয়া হবে? সে ব্যাপারে পরে চিন্তাভাবনা করবেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে প্রশংসা করে তিনি জানালেন যে, তাঁরা মনে করেন যে, তৃণমূল দলে থেকেও রাজীববাবু একজন নির্ভরযোগ্য রাজনীতিবিদ। অনুব্রত মণ্ডলের মত হিংসার রাজনীতি করেননি তিনি। এরপর তিনি জানালেন যে, তৃণমূলের বহু নেতার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ,সাধন পান্ডে, শীলভদ্র দত্ত প্রমুখের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক এখন তেলে- জলের মত অবস্থায়। কেউ কারো সঙ্গে মিশছেন না। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন যে, মালদা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি এই সমস্ত জায়গায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল। গোটা তৃণমূল দলটিই এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত।

গতকালের এই সাক্ষাৎকারে বিহারের নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, বিহারে সিপিএমকে ছাড়িয়ে অনেক দূর চলে গেছে সিপিআইএম লিবারেশন। তাই পশ্চিমবঙ্গে বামেরা তেমন কোনো বড় কিছু করতে পারবে না বলে তার দাবি। অন্যদিকে তিনি জানালেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসনের লক্ষমাত্রা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন যা একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, যা ইতিপূর্বে ঘটেনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসুস্থতার কারণে বিহারে নির্বাচনে যেতে না পারলেও, একটু সুস্থ হয়ে তিনি বাংলায় এসেছেন। বাংলার নির্বাচনকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কতটা গুরুত্ব দেয়, এটাই তার প্রমান।

গতকালের এই সাক্ষাৎকারে একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীর সঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিজেপিতে আসার যে দাবি জয়প্রকাশ মজুমদার করেছেন, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। তাঁর এই দাবি যদি সত্য হয়, তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে শাসকদল তৃণমূলের একের পর এক উইকেট পড়তে চলেছে। নির্বাচনের আগে বিপাকে পরে যাবে শাসকদল তৃণমূল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!