এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রচার করেছেন দলীয় নেতারাই! এবার তৃণমূল ছাড়া নিয়ে বিস্ফোরক অনুব্রত মণ্ডল

বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রচার করেছেন দলীয় নেতারাই! এবার তৃণমূল ছাড়া নিয়ে বিস্ফোরক অনুব্রত মণ্ডল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহধন্য তিনি। দিদি অন্তপ্রাণ বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। লোকসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যের সর্বত্র বিরোধী দল বিজেপির উত্থান ঘটলেও, তিনি তার জেলায় থাকা দুটি লোকসভা কেন্দ্র উপহার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে সেই অনুব্রত মণ্ডল কি এবার যোগ দিচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে! বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে কর্মীদের মুখ থেকে উঠে এল এমনই কথা। যা শুনে রীতিমতো হতবাক বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

বস্তুত, চরাম চরাম ঢাক থেকে শুরু করে বিরোধীদের গুড় বাতাসা দেওয়ার কথা বলে মাঝেমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় ভাই কেষ্ট। সেই তিনি লোকসভা নির্বাচনের পর ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে পারেন বলে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার হওয়ার কারণেই বেশ কিছু বুথে দল হেরে গিয়েছে বলে জানিয়ে দিল তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা। যা শুনে রীতিমতো চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড় সেই কেষ্টবাবুর।

সূত্রের খবর, রবিবার লাভপুরের হাটতলা ফুটবল ময়দানে সাঁইথিয়া ব্লকের 6 টি অঞ্চল এবং লাভপুর ব্লকের 11 টি অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক পর্যালোচনা হয়। যেখানে উপস্থিত হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল সহ সাঁইথিয়া এবং লাভপুর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। বস্তুত, এদিন এই কর্মী সম্মেলনে সাঁইথিয়া ব্লকের ছটি অঞ্চলের ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা হয়। যেখানে বিগত লোকসভা নির্বাচনে আহমদপুর অঞ্চলের 18 টি বুথে বিজেপির কাছে হেরে যেতে হয় তৃণমূল কংগ্রেসকে।

প্রথমেই সেই অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্বের ডেকে হারের কারণ জানতে চান জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর কারন বলতে গিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক যুক্তি দেন অঞ্চল নেতৃত্ব। শিক্ষকের ভূমিকায় থাকা জেলা তৃণমূল সভাপতিকে আহমদপুর পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, “নিজেদের দলের ভেতরে দ্বন্দ্বের জন্যই এমন ফল হয়েছে। দলের অনেক নেতৃত্ব প্রচার করেছিল, লোকসভা নির্বাচনের পর অনুব্রত মণ্ডল নিজেও বিজেপিতে যোগদান করবেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও বলেন, “তাই তৃণমূলের সবাইকে বিজেপিতে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এই প্রচার হওয়ার ফলেই অঞ্চলে তৃণমূলের এই ফল হয়েছে।” আর অঞ্চল নেতৃত্বের মুখ থেকে এই কথা শোনার পরই রীতিমতো আতকে ওঠেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “তৃণমূল কর্মীদের বোঝা উচিত ছিল, অনুব্রত মণ্ডল দরকার হলে ঘরে বসে থাকবে। তবুও তৃণমূল ছাড়বে না।” কিন্তু সত্যিই তো তাই।

যেখানে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন, দিনরাত এক করে লোকসভায় দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর জন্য খেটেছেন, সেখানে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন, এই কথা কি করে বিশ্বাস করে নিলেন দলের কর্মীরা! আর সেই কথা বিশ্বাস করে কি করে দলের অনুগত কর্মীরা বিজেপিতে ভোট দিয়ে দিলেন! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরে। এদিকে সাঁইথিয়া ব্লকের সাংড়া অঞ্চলে দলের ফল খারাপ নিয়ে অঞ্চল নেতৃত্বের কাছে জানতে চান অনুব্রত মণ্ডল।

যেখানে অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সিপিএমের ভোট সম্পূর্ণরূপে বিজেপিতে চলে যাওয়া এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হওয়াতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে। এদিকে শ্রীনিধিগড় তৃণমূল নেতৃত্বকে খারাপ ফলের জন্য করা ভাষায় ধমক দেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে লাভপুর ব্লকের 11 টি অঞ্চলে 100 দিনের কাজের টাকায় এলাকায় মন্দির এবং মসজিদ বানানোর কাজে খরচ করা হয়েছে। আর সেই কারণেই মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে জানান ইন্দাস পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি দীনবন্ধু রায়।

যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপিতে যাওয়া লাভপুরের মনিরুল ইসলামকে কাঠগড়ায় তোলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “লাভপুরে প্রাক্তন বিধায়ক 2014 সালের আগে এই কাজ করেছেন। এখন এই সব কেউ করছে না। তখন হয়ে গিয়েছে। আমার তখন কোনো কিছু করণীয় ছিল না। প্রাক্তন বিধায়ক অত্যন্ত অন্যায় করেছেন।” সব মিলিয়ে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে দলীয় সংগঠনকে ফের আরও একবার চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!