প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে গিয়েই তাঁকে প্রবল কটাক্ষ ও হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।  রামপুরহাটে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় রোডশোয়ে অংশগ্রহণ করেন। এই রোডশো থেকেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে যেমন হুঁশিয়ারি দিলেন, তেমনি তীব্র আক্রমণ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের উদ্দেশে তিনি জানালেন যে, নবান্ন খালি করে দিতে হবে, যা শুধু সময়ের অপেক্ষা।

অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলকে তীব্র কটাক্ষ করে জানালেন যে, অনুব্রত মণ্ডলের মুখের ভাষা একেবারে নেড়ি কুকুরের ল্যাজের মতো।রামপুরহাটে রোডশোয়ে যোগদান করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রামপুরহাটের ত্রিফলা থেকে পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত তাদের রোডশো চলে। সেখান থেকেই বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান যে, হাজার হাজার মানুষ নেমে পড়েছেন রাস্তায়। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে মানুষেরা অভিবাদন জানাচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আর এখান থেকেই লেখা হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল দলের ভবিষ্যৎ।

এরপর, তৃণমূলকে প্রবল হুঁশিয়ারি দিয়ে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, তৃণমূলকে চলে যেতে হবে। নবান্ন খালি করে দিতে হবে। তিনি জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের শাসন ক্ষমতা থেকে তৃণমূলের চলে যাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তিনি ১০০% আশাবাদী যে পশ্চিমবঙ্গে ২০০ টিরও বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে বিজেপি। সম্ভবত বীরভূমের ১১আসনের মধ্যে ১১ টি আসনেই জয়লাভ করবে বিজেপি।

তিনি জানান, অনুব্রত মণ্ডলের মুখের ভাষার জন্যই এই জেলায় পরাজয় ঘটবে তৃণমূলের। তাঁর কথায় অনুব্রত মণ্ডলের যা মুখের ভাষা, সেই ভাষাকে জবাব দেওয়ার এখন সময় এসে পড়েছে। তিনি জানালেন, অনুব্রত মণ্ডলের মুখের ভাষা নেড়ি কুকুরের ল্যাজের মতো। যা একটু সোজা করে দিলেও, আবার তা বেঁকে যায়। কি বলতে হয়? মাথায় যখন অক্সিজেন ফুরিয়ে যায়, তখন তা চলে যায়। তিনি জানালেন, বীরভূমে তৃণমূলকে কবরে পাঠিয়ে দেবার জন্য অনুব্রত মণ্ডলই যথেষ্ট।

প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য নিয়ে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু  যেভাবে, যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। সে ভাষাকেও যথেষ্ট আপত্তিজনক ও কুরুচিকর বলে বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক।