এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অনুব্রতর পর এবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছেন এই হেভিওয়েট নেতাও, জোর শোরগোল রাজ্যে

অনুব্রতর পর এবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছেন এই হেভিওয়েট নেতাও, জোর শোরগোল রাজ্যে


এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসনই দখল করার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভোটের ফলাফলে নেত্রীর সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। উল্টে আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্যের 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 18 টি আসন দখল করেছে বিজেপি।

অন্যদিকে 22 টি আসন দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তৃণমূলকে। আর তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত হতাশাজনক এই ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে রাজ্যের অনেক হেভিওয়েট শাসকদলের নেতারা দায়িত্ব নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি। যার মধ্যে অন্যতম বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যিনি তার জেলার দুটি লোকসভা আসন দখল করলেও বিভিন্ন বুথে বিজেপির এগিয়ে থাকায় চিন্তা বেড়েছে তৃণমূলের।

আর তাই তো দলের এই পরাজয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সুর শোনা গেছে সেই অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। আর এবার অনুব্রত মণ্ডলের পর মালদায় ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্বে থাকা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও নিজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা শুনিয়ে দিলেন।

প্রসঙ্গত, এবারে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে এসে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত মালদহের 2 লোকসভা কেন্দ্র উত্তর ও দক্ষিণ মালদহে দলের হয়ে জোর প্রচার করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি প্রচারপর্বে এসে এই দুটি আসনই তৃণমূল দখল করবে বলে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কার্যত চ্যালেঞ্জও ছুড়তে দেখা গিয়েছিল তাকে। আর ভোটের ফলাফলে মালদহের দুটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি কংগ্রেস এবং অপরটি বিজেপি দখল করায় এবং মালদহ থেকে তৃণমূল শূন্য হাতে ফেরায় অবশেষে নিজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইতে শুরু করেছেন মালদহ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী বলে জানা গেছে।

 

ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং জেলা নেতৃত্বদের কাছেও সেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট নেতা যদি জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান, তাহলে মালদার মত জায়গায় ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্বে কে আসবেন! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “কলকাতায় দলনেত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সেখানেই যা জানার জানানো হবে। আমি এর বেশি কিছু জানি না।”

জানা গেছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে যে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি যে বৈষ্ণবনগর এলাকায়, সেখানে তিনি নিজের বুথে হেরে গিয়েছেন। অন্যদিকে এই জেলার চার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়, সাবিনা ইয়াসমিন, দিপালী বিশ্বাস এবং নীহার ঘোষেরাও নিজেদের এলাকায় দলকে লিড নিতে পারেননি। আর দলের এই খারাপ ফলাফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই যে অনেকটাই দায়ী সেই ব্যাপারে তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, মালদহের যে দুটো পৌরসভা রয়েছে, সেই ইংরেজবাজার পৌরসভার 29 টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে পুরাতন মালদার কুড়িটি ওয়ার্ডের সবকটিতেই বিজেপি শেষ হাসি হেসেছে। একাংশের দাবি, উত্তর মালদহে সিপিএমের অধিকাংশ ভোট বিজেপিতে যাওয়ার জন্য বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু জয়লাভ করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে পুরাতন মালদহের সিপিএমের অঞ্চল কমিটির সম্পাদক প্রবীর লাহিড়ী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় মোদিকে আক্রমণ করে করেই বিজেপিকে এই জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন।”

অন্যদিকে মেরুকরণের ভিত্তিতে ভোট হওয়ার ফলেই বিজেপি জিতেছে বলে জানান মালদহ জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, যে কারণেই বিজেপি জয়লাভ করুক না কেন!

তৃণমূলের যে সমস্ত হেভিওয়েট নেতারা জেলার দায়িত্বে ছিলেন, সেখানে দল যেভাবে ভরাডুবির মুখে পড়েছে, তাতে তাদের এবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আর তাই তো অনুব্রত মণ্ডলের পর এবার মালদহ জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং মালদহ জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দিলেন তৃনমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!