এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > একদা পুলিশকে বোমা মারার নিদান দেওয়া অনুব্রত মন্ডলের বোমা ফাটানো নিয়ে দলীয় নেতাদের নতুন নির্দেশিকা!

একদা পুলিশকে বোমা মারার নিদান দেওয়া অনুব্রত মন্ডলের বোমা ফাটানো নিয়ে দলীয় নেতাদের নতুন নির্দেশিকা!


লোকসভা ভোটের মুখে ফের দলীয় সহযোদ্ধাদের এলাকার শান্তি বজায় রাখতে কড়া নিদান দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আসন্ন লোকসভা ভোটে জেলায় কোনো হিংসার নজির দেখা যাবে না এমনটা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। এবার আরো এক ধাপ এগিয়ে হুমকির সুরে বললেন,’কোথাও যেন বোমাবাজির ঘটনা না ঘটে। যেখানে বোমা ফাটবে সেই অঞ্চল সভাপতিকে জেলে ঢোকাব।’

গতকাল ইসলামবাজারে কর্মী সম্মেলনে হাজির হয়ে বীরভূম এবং নদীয়া জেলার বিজেপিকে জব্দ করতে চ্যালেঞ্জও নেন তিনি। অন্যদিকে,দুবরাজপুর কর্মী সম্মেলনে হাজির হয়ে এলাকার উন্নয়নকে আরো এগিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া লোবায় কয়লা শিল্পাঞ্চলের প্রস্তাবিত এলাকায় দলের নেতাদের সঙ্গে কৃষি জমি রক্ষা কমিটির দ্বন্দ্ব মেটাতে বিশেষ বৈঠক করবেন বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

দুটি ব্লকেই লোকসভা ভোটে তৃণমূলের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন তিনি। এদিনের কর্মী সভায় অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা সহসভাপতি অভিজিৎ সিংহ উপস্থিত ছিলেন।

পঞ্চায়েত হোক বা বিধানসভা কিংবা লোকসভা নির্বাচন,ভোটের আগে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে বীরভূমের। তবে এবারের লোকসভা ভোটে বীরভূমে হিংসার রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অনুব্রত বাবু। গোষ্ঠীকোন্দলের প্রাণকেন্দ্র খয়রাশোলে খুনোখুনি না করার বার্তাও আগেও দিয়েছিলেন তিনি। এদিন ইসলামবাজার কর্মী সম্মেলনে কর্মীদের ফের এই একই বিষয়ে বুঝিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি।

তাঁর স্পষ্ট বার্তা,কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর আওতায় হওয়া লোকসভা নির্বাচনে কোনো অশান্তি বা গোলমাল চায় না তৃণমূল। আর সেজন্যে এলাকায় অশান্তি পাকাতে দেখলে সভাপতিদের সোজা জেলে ঢোকানোর নিদান দিলেন তিনি। পাশাপাশি, বিজেপিকে পরোক্ষভাবে ‘দাঙ্গাবাজের দল’ বলে খোঁচা মেরে বীরভূম এবং নদীয়ায় বিরোধীদের জব্দ করবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে,দুররাজপুর শহর এবং ব্লকের কর্মী সম্মেলনে হাজির হয়ে হাল্কা মেজাজে বুথের কর্মীদের অনেক আবদার মেটানোর প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। তখনও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি বলেন,’যেমন দেব তেমন নেবও।’ এরপর গোয়ালিয়াড়ার অঞ্চল সভাপতিকে বিধানসভা ভোটে পিছিয়ে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে কটাক্ষ করে অনুব্রতবাবু বলেন,’হেরে গিয়েও চোখে গগলস!’

গতকাল লোবা অঞ্চলের সভাপতির কাছে লীড বাড়ানোর কথা বলতেই তিনি জানান,এলাকায় বেশকিছু সমস্যার কারণে একটু অসুবিধা হচ্ছে। তবে এর বিহিত করতে দলের সব পক্ষের সঙ্গে মিটিংয়ে বসার পরামর্শ দেন জেলা সভাপতি। প্রসঙ্গত,লোবা অঞ্চলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে জেলার কৃষিজমি রক্ষা কমিটির দ্বন্দ্ব বহু পুরানো। এলাকায় ক্ষমতা থাকলেও জমি রক্ষা কমিটির সদস্য এবং নেতারা অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হলেও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বেশ দূরত্বই রয়েছে কিছুই। সেই দূরত্ব যাতে লোকসভা ভোটের আগে মিটে যায় তা করতেই মরিয়া চেষ্টা করছেন অনুব্রত মণ্ডল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!