গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতেই কী এমন পদক্ষেপ নাকি পায়ের তলার মাটি সরার আশঙ্কা, সংগঠনে বড়সড় রদবদল অনুব্রত গড়ে রাজ্য December 18, 2018 কদিন আগেই জেলার এক ব্লকে জনসভায় গিয়ে সাধারণ মানুষদের অভাব, অভিযোগ ও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের অভিযোগের আঙুল ছিল দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধেই। আর এরপরই হঠাৎ বীরভূমের খয়রাশোলে দলীয় সংগঠনের নজরদারিতে 11 জনের কমিটি তৈরি করে দিলেন সেই অনুব্রত মণ্ডল। যেখানে রাখা হল ব্লক সভাপতিদের। কিন্তু কেন এই 11 জনের কমিটি? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথমেই এই খয়রাশোল ব্লকের সভাপতি অশোক ঘোষ খুন হন। আর এরপরই খুন হতে হয় অশোক মুখোপাধ্যায়কে এবং এই খুনের ঘটনার বেশ কয়েক মাস আগে খুন হন সেই অশোক ঘোষেরই ভাই তথা এই খয়রাশোল ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দীপক ঘোষ। এদিকে শাসকদলের একের পর এক নেতা খুনে হতবাক হয়ে যান অনেকেই। ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। আর তাই এবারে সেই খয়রাশোলকে নিয়ন্ত্রনের জন্য 11 জনের কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিলেন অনুব্রত বাবু। সমালোচকদের একাংশের মতে, আসলে এই বীরভূম জেলায় যত দিন যাচ্ছে তত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে তৃণমূলের। আর তাইতো কূল কিনারা না পেয়ে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতেই এহেন উদ্যোগ নিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রিয় কেষ্ট। যদিও বা বিরোধীদের এই সমস্ত দাবিকে মানতে নারাজ অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তিনি বলেন, “11 জনের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটিতে যারা আছেন তাদের মাসে দুটো করে বৈঠক করতে হবে। এলাকায় যেন আর কোনো মানুষ খুন না হয়। সকলকে সঠিক পরিষেবা দিতে হবে।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সব মিলিয়ে এখন একদিকে সাধারণ মানুষদের অভাব অভিযোগ আর অন্যদিকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমাতে খয়রাশোলে তৃণমূলের এই 11 জনের ব্লক কমিটি আদৌ কতটা কাজে দেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -