এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অনুব্রত গড়েই বিজেপির ভোট বৃদ্ধি, সুগারের ভয়ে নকুলদানাকে বর্জন কটাক্ষ বিরোধীদের

অনুব্রত গড়েই বিজেপির ভোট বৃদ্ধি, সুগারের ভয়ে নকুলদানাকে বর্জন কটাক্ষ বিরোধীদের


নির্বাচনের আগে সকলকে নকুলদানা খাওয়ানোর দাওয়াই দিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুধু তাই নয়, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও রাজ্যে 42 এ 42 টা আসন তৃণমূল কংগ্রেস পাবে এই দাবি জানিয়ে বরাবরই আত্মবিশ্বাসী দেখা গেছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের এই সৈনিককে।

এমনকি ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, রাজ্যে ব্যাপকভাবে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। এমনকি প্রবল গতিতে উত্থান ঘটেছে বিজেপির। তবে রাজ্যের সিংহভাগ আসন বিজেপি দখল করলেও বোলপুর এবং বীরভূম আসন নিজেদের দখলেই রেখেছে তৃণমূল। কিন্তু দুটি আসন তৃনমুল নিজেদের দখলে রাখলেও দুবরাজপুর এবং বোলপুর পুরসভায় ব্যাপকভাবে উত্থান ঘটেছে বিজেপির।

সূত্রের খবর, বোলপুরের 20 টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল 15 টি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে রয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে বোলপুরের 15 নম্বর ওয়ার্ডের নিচুপট্টিতে যেখানে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি, সেই ওয়ার্ডেও তৃণমূলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। একইভাবে বোলপুরের 16 নম্বর ওয়ার্ডে থাকা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকেও তার নিজের ওয়ার্ডে হারতে হয়েছে।

পাশাপাশি বোলপুরের 6 নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসকারী দুবরাজপুর বিধানসভা তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরিও নিজের ওয়ার্ডে হেরে গিয়েছেন বিজেপির কাছে। আর তাই লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করলেও যে ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূলের দাপুটে নেতাদের বাস, সেই ওয়ার্ডে বিজেপির এই উত্থান দেখে হতবাক তৃণমূলের একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মানুষ রায় দিয়েছে। মানুষের রায় মাথা পেতে নিতে হবে। সিপিএমের পুরো ভোটটাই বিজেপিতে পড়েছে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “2014 সালেও বিজেপির পক্ষে হাওয়া ছিল, কিন্তু তার এতটা প্রভাব পড়েনি। এ বছর ধর্মের ভিত্তিতে ভোট হয়েছে। তাই এই ফল হয়েছে। আশা করি বোলপুর পৌরসভা ভোটে এই রেজাল্ট কাজ করবে না।”প্রসঙ্গত, ভোটের ফলাফল সামনে আসার পরেই তিনি দাবি করেছিলেন যে, “প্রেসিডেন্ট পদে থাকব কি না তা ভেবে দেখব ।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি যিনি ভোটের আগে প্রায়শই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে হুমকি দেন বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীদের একাংশ, সেই অনুব্রত মণ্ডলই এবার নিজের গড়ে বিজেপির উত্থান আটকাতে না পারায় বিরোধীদের পক্ষ থেকে অনেকেই রসিকতা করে বলছেন, এবারের ভোটে আর নকুলদানার দাওয়াই কাজ করেনি। বিজেপির দাবি, আসলে অনুব্রতবাবুর হয়তো সুগার রয়েছে। তাই নকুলদানা এবার তার সহ্য হয়নি। উল্টে সেই নকুলদানার দাওয়াই দিতে গিয়ে তাকেই বিপাকে পড়তে হয়েছে।অনেকে আবার রসিকতা করে বলছেন যে সাধারণ মানুষ সুগারের ভয়ে নাকুলদানায় হাত দিলেন না।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নির্বাচনের আগে বিজেপি বাংলায় একটিও আসন পাবে না বলে দাবি করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু বাস্তবে তার এই কথা তো মেলেয়নি, উল্টে সারা রাজ্যে যেমন বিজেপির উত্থান লক্ষ্য করা গেছে, ঠিক তেমনই নিজের ওয়ার্ডেও বিজেপির উত্থান ঠেকাতে পারেনি অনুব্রত মণ্ডল। ফলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে তার নকুলদানা দাওয়াইয়ের তত্ত্ব এতটুকুও কাজ করেনি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!