এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের স্বমহিমায় অনুব্রত, ফিরে এসেই ঘর ভাঙলেন বিজেপির

ফের স্বমহিমায় অনুব্রত, ফিরে এসেই ঘর ভাঙলেন বিজেপির

বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল দিদির বড় প্রিয় ভাই। পাশাপাশি তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতিও। তাঁর দাপটে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর অনেকটাই দাপট কমেছিল বীরভূম জেলা সভাপতির। তাছাড়া শরীর অসুস্থ থাকার দরুন কিছুদিন একটু আড়ালে ছিলেন।

আর এদিকে দল ভাঙতে শুরু করেছিল ঝড়ের বেগে। বিজেপি নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করেছিল। আর তাই প্রশ্ন উঠেছিল যে আড়ালেই কি চলে গেলেন অনুব্রত মন্ডল ? কিন্তু এদিন সব জল্পনা উড়িয়ে ফের স্বমহিমায় দেখা দিলেন বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল।

এদিন বিজেপির ঘর ভেঙে ভাঙলেন তিনি। জানা যাচ্ছে এদিন বীরভূমের লাভপুরে একটি দলীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আর সেখানেই এদিন বিজেপি ছেড়ে কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলের দাবি প্রায় দুই হাজার কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেছেন।

এদিন সভা থেকে অনুব্রত মণ্ডল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি এ দিন বলেন – “একটা পাগল ছাগল ভাবছে আমি মরে গেছি। আমি কিছুদিন অসুস্থ ছিলাম, এখনো বেঁচে আছি. তাই আমার কোন কর্মীর গায়ে যদি হাত পড়ে চুপ করে আমি বসে থাকবো না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সাথেই তিনি দাবি করেন , “আমার নেতা মান্নানকে মারার হুশিয়ারি দিয়েছে। তুমি কত বড় মস্তান, তুমি মস্তান হলে আমি ডন। এর সাথে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে জানান, পারলে উন্নয়ন করে দেখাও। আমার জেলার কয়লাখনির কাজ শুরু করছি , বেকার ছেলে মেয়েদের কর্মসংস্থান হবে আর তোমরা এনআরসি করে দেশ থেকে মানুষকে তাড়াতে চাইছো। তোমাদেরকে মানুষ তাড়িয়ে দেবে।

প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বীরভূমের লাভপুরে এসে সভা করেন আর সেই সভা থেকেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এনআরসি চালু তারা করবেই আর স্থানীয় নেতাদের নাম করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি যে সভা আয়োজন করা হয়েছিল সেখান থেকে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল হুঁশিয়ারি দিলেন। তিনি দাবি করেন লাভপুরে সভা করার কোন প্রয়োজন ছিল না. কিন্তু কর্মীদের অনুরোধের জন্যই সভা করা হয়েছে। সাথেই দিলীপ ঘোষকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ক্ষমতা থাকলে পশ্চিমবঙ্গের চালু করে দেখাও। এখানকার মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য যিনি প্রাণ দিতেও প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত এদিনের যোগদান নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয় কাউকে জোর করে ফাঁদে ফেলে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ কিন্তু ধরে রাখা সহজ নয় তাই যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তারা তো ফিরে আসছেন এই পাশাপাশি নিজেদের দলের কর্মী সমর্থকরাও আর বিজেপিতে থাকতে চাইছে না। তাই তারা তৃণমূলে দিদির আশ্রয় পেতে চাইছেন যে কারণেই আজ এতজন মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন।

বিজেপির তরফ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়েছে তৃণমূল যত সংখ্যক যোগদানের কথা বলছে সংখ্যাটা ততটা নয় 5 -10 জন গেছে আর যারা গেছেন তাদেরকে জোর করে ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা হয় ফের বিজেপিতে ফিরে আসবে কিংবা তৃণমূলে থেকেও বিজেপির হয়ে কাজ করবেন। কেননা তারা মন থেকে তৃণমূল নয় বিজেপি। ভয় দেখিয়ে কাউকে নিজেদের করা যায় না। এই নিয়ে চাপানউতোর চলছেই এখন দেখার অনুব্রত মণ্ডলের স্বমহিমায় ফিরে আসায় বিজেপি তাদের ঘর কিভাবে সামলে রাখে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!