এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলনেত্রীর ডাকা বৈঠকে গরহাজির দিদির ভাই কেস্টার গড়ের কাউন্সিলররা, জোর শোরগোল রাজ্যে

দলনেত্রীর ডাকা বৈঠকে গরহাজির দিদির ভাই কেস্টার গড়ের কাউন্সিলররা, জোর শোরগোল রাজ্যে

বীরভূম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। এখানকার দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দাপটে বাঘে গরুতে কার্যত এক ঘাটে জল খায় বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। কিন্তু এবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবি হতে না হতেই সেই বীরভূমেও গেরুয়া রঙের ছোঁয়া লাগতে শুরু করল। আর এরই মাঝে এবার গতকাল নজরুল মঞ্চে দলের সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল সেই বীরভূম জেলার একাধিক পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের।

জানা গেছে, অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক 20 আসনবিশিষ্ট বোলপুর পুরসভায় তৃণমূলের 19 জন কাউন্সিলার থাকলেও হাতেগোনা কয়েকজন এদিন কলকাতার বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের শক্তঘাঁটি বীরভুমের বোলপুর পৌরসভার কাউন্সিলররা কেন নেত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হলেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু কাউন্সিলর বলেন, “একটা গাড়িতে আমি সহ 4 জন কাউন্সিলার কলকাতায় গিয়েছিলাম। বাকিরা কেউ যাননি বলেই আমি জানি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিকে বোলপুরের 3 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শেলি রায় শ্বশুরের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান থাকার জন্য এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানা গেছে। কিন্তু বাকি কাউন্সিলরদের কি হল তা নিয়েই এবার ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা। তাহলে কি সেই কাউন্সিলরদের মনে প্রাণেও এখন গেরুয়া ঝড় বইতে শুরু করেছে! রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলার দুটি লোকসভা আসন অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূলের হাতে রাখতে সমর্থ হলেও বেশ কিছু পৌরসভায় তৃণমূল পিছিয়ে থেকেছে। আর যা এখন বড় চিন্তার কারণ শাসক শিবিরের কাছে।

তবে শুধু বোলপুর পৌরসভাই নয়, 19 আসন বিশিষ্ট সিউড়ি পৌরসভায় একজন কাউন্সিলর মারা যাওয়ায় বাকি 18 জন তৃণমূলের কাউন্সিলার হলেও এদিনের বৈঠকে প্রায় 9 জনই উপস্থিত হননি। অনেকে বলছেন, সিউড়ি পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দলের অনেক কাউন্সিলারের ক্ষোভ রয়েছে। আর সেই কারণেই স্বয়ং নেত্রীর ডাকা বৈঠকে এই পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলার উপস্থিত হননি।

এদিন এই প্রসঙ্গে অনুপস্থিত কাউন্সিলরদের অনেকে বলেন, “আমাদের ক্ষোভ পৌরপ্রধানের উপরে। এতদিন হাতে কোনো বিকল্প ছিল না, এখন কিন্তু আছে।” তবে কি তারা সত্যি সত্যিই এবার বিজেপিতে যাচ্ছেন! এখনই এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে অবশ্য নারাজ তৃণমূল কাউন্সিলররা। একই ছবি দেখা গেছে রামপুরহাট পুরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যেও। এদিনের বৈঠকে এখানকার অনেক কাউন্সিলার উপস্থিত হননি।

এদিন এই প্রসঙ্গে রামপুরহাট পুরসভার উপ পুরপ্রধান সুকান্ত সরকার বলেন, “অনেকেই মহিলা কাউন্সিলার। সেই জন্য তাদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকে আবার ঠিক সময়ে যোগাযোগ করে উঠতে পারেনি বলেই আসতে পারেননি।” সব মিলিয়ে এবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকা বৈঠকে বীরভূমের একাধিক তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!