এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > চাঞ্চল্য অনুব্রত-গড়ে – দলীয় কাউন্সিলরের হাতেই হেনস্তার শিকার পুরসভার চেয়ারম্যান

চাঞ্চল্য অনুব্রত-গড়ে – দলীয় কাউন্সিলরের হাতেই হেনস্তার শিকার পুরসভার চেয়ারম্যান


এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। একেই তো এবারে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল খুব একটা ভাল হয়নি, তার ওপর বিভিন্ন পৌরসভায় তৃণমূলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। যা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে মাথাব্যথা। আর এরই মাঝে এবার বীরভূমের রামপুরহাট পৌরসভায় নিজের দলেরই কাউন্সিলার এবং তার দাদার হাতে হেনস্তার শিকার হতে হল সেই পুরসভারই চেয়ারম্যান অশ্বিনী তিওয়ারিকে।

সূত্রের খবর, শনিবার সকালের এই ঘটনা মুহুর্তের মধ্যে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে গেলে তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়। যেখানে ভিডিওতে দেখা গেছে যে, রামপুরহাট পৌরসভার সামনে 4 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আব্বাস হোসেন চেয়ারম্যান অশ্বিনী তিওয়ারিকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। যেখানে আব্বাস হোসেনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার দুই দাদা আরসাদ ও আকসাদও।

প্রথমেই নিজেদের পরিবারের ক্ষতির জন্য চেয়ারম্যান অশ্বিনী তিওয়ারিকে দায়ী করে আব্বাস হোসেনের দাদা আরসাদকে বলতে দেখা যায়, “তৃণমূল দলটাকে শেষ করেছিস। সেজন্য রামপুরহাটে ভোট নেই।” আর এরপরই 4 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আব্বাস হোসেন চেয়ারম্যান অশ্বিনী তিওয়ারিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এখানে আব্বাসের উপরে কোনো মস্তানি চলবে না।” পরে অবশ্য ভিডিওতে দেখা যায় যে, চেয়ারম্যান তাদের কাছে হাতজোড় করে এলাকা ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র শোরগোল শুরু হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে বিকেলেই দুই পক্ষকে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে একটি বৈঠকে বসেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন এরূপ ঘটনা ঘটল! এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভিডিও ভাইরাল হতে পারে, তবে আমি ভিডিও দেখিনি। আর ভিডিও কিভাবে হয় সেটা আমি জানি। ফলে ভিডিও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।”

অন্যদিকে ইয়ার্কি মারতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান 4 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আব্বাস হোসেন। কিন্তু এইভাবে চলতে থাকলে কিভাবে পুরসভায় দল ঠিক গতিতে এগোবে! এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এটা ওদের ব্যাক্তিগত ঝামেলা। তবে আব্বাস এই ঝামেলা রাস্তায় নিয়ে এসে ঠিক করেনি। চেয়ারম্যান আমাকে জানালে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তবে দলনেত্রী যখন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমিয়ে সকলকে এক হয়ে চলতে বলছেন, ঠিক তখনই রামপুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে দলীয় কাউন্সিলারের এহেন হুমকির ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় এখন এই ঘটনায় তৃণমূল ঠিক কি পদক্ষেপ নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!