এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > দলীয় নেতাদের দুর্নীতিতেই পিছিয়ে পড়ছে তৃণমূল – শুনেই রাগে অগ্নিশর্মা অনুব্রত মন্ডল দিলেন আইনি ব্যবস্থার দাওয়াই

দলীয় নেতাদের দুর্নীতিতেই পিছিয়ে পড়ছে তৃণমূল – শুনেই রাগে অগ্নিশর্মা অনুব্রত মন্ডল দিলেন আইনি ব্যবস্থার দাওয়াই

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৪২ টির মধ্যে ৪২ টি আসনেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূলের কংগ্রেসের সেই কাঙ্খিত ফলাফলে বড় ভূমিকা অবশ্যই নিতে হবে দলনেত্রীর প্রিয় ভাই অনুব্রত মন্ডলকে। ফলে, তিনি আর হাত গুটিয়ে বসে না থেকে এখন থেকেই আসরে নেমে পড়েছেন। গোটা বীরভূম জেলা ঘুরে ঘুরে করে বেড়াচ্ছেন কর্মীসভা। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘উন্নয়ন দাওয়াই’ দিয়ে কার্যত গোটা বীরভূমে নির্বাচনের কোনো সুযোগই রাখেননি তিনি। তবুও দেখা গেছে, যেখানে নির্বাচন হয়েছে সেখানেই পাপড়ি মেলেছে পদ্ম শিবির।

ফলে, কর্মীসভাগুলিতে তিনি রীতিমত খতিয়ান নিচ্ছেন স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে – কেন হল এরকম ফল? সেইরকমই এক কর্মীসভায় গতকাল মল্লারপুরের শিববাড়ি মাঠে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মন্ডল। সেখানে বাজিতপুর অঞ্চলের এক বুথ সভাপতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে সরাসরি আঙুল তোলেন দলীয় নেতাদের দুর্নীতির দিকে। তিনি বলেন, অনেক পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সদস্য সরকারি বাড়ি দেওয়ার নামে বিভিন্ন বেনিয়ম করেছিলেন। তাঁদের সেই বেনিয়মের জন্য আমরা পিছিয়ে পড়েছি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই কথা কানে যেতেই কার্যত রগে অগ্নিশর্মা হয়ে পড়েন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। অনুব্রত মন্ডল স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন – যারা যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের নামে সরাসরি থানায় অভিযোগ করতে এবং তা আজকের মধ্যেই। তবে দলীয় নেতাদের দুর্নীতির পাশাপাশি, তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব মূলত আরও দুটি কারণ জানান – প্রথমত, এলাকায় বিজেপি বাড়ছে। দ্বিতীয়ত, দলের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে নেতৃত্বকে সম্মান জানানোর অভাব। যা শুনে অনুব্রতবাবুর দাওয়াই, কেউ যদি ভাবেন অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদের সম্মান দেবেন না, তবে তাঁদের মেম্বার থাকার দরকার নেই।

তিনি আরও বলেন, প্রধান যদি ভেবে নেয় মানুষের কাজ করব না তাহলে তার কপালে খুব কষ্ট আছে। এর পাশাপাশিই, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি স্থানীয় নেতৃত্বের সামনে টার্গেট ঝুলিয়ে দেন। তিনি বলেন, নটি অঞ্চল মিলিয়ে গত বিধানসভায় ২১,৬৯২ ভোটে লিড ছিল। এবার কমপক্ষে ৩০ হাজার লিড দিতে হবে, বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর হবে না। এর পাশাপাশিই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই উন্নয়ন করে স্থানীয় মানুষের মন জয়ের দিকেও তিনি নজর দিতে বলেন। প্রয়োজনে তিনি নিজে এলাকায় ঘুরে সেই উন্নয়নের তদারকি করবেন বলেও জানান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!