এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বীরভূম বিরোধী শূন্য করেও সমস্যায় অনুব্রত মন্ডল, শাস্তির মুখে তাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতিরা

বীরভূম বিরোধী শূন্য করেও সমস্যায় অনুব্রত মন্ডল, শাস্তির মুখে তাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতিরা


পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল ‘কথা দিয়েছিলেন’ বীরভূম জেলায় বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পাবে না। আর পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই তিনি জানিয়েছিলেন, রাস্তায়-রাস্তায়, ব্লক অফিসে তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ দাঁড়িয়ে আছে, তাই বিরোধীরা কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না। কথা রেখেছেন তিনি, মনোনয়ন পর্ব মিটতেই দেখা গেছে বীরভূমের ৪২ টি জেলা পরিষদ আসনের ৪১ টিতেই কোনো বিরোধী প্রার্থী নেই। শুধুমাত্র ১ টি আসনে তৃণমূলের ‘উন্নয়নের’ ফাঁক গলে বিজেপির চিত্রলেখা রায় প্রার্থী হয়েছেন। যদিও অনুব্রতবাবুর কথামত, বিজেপির প্রার্থী হয়ে ‘মনোকষ্টে’ ভুগে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আর তাই বিনা পরীক্ষাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের ‘উন্নয়নের’ জোরে আর অনুব্রত মন্ডলের ‘আদর্শে’ অনুপ্রাণিত হয়ে বীরভূম জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস ‘ফার্স্টবয়’ হয়েছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কিন্তু প্রিয় দিদিকে এতবড় উপহার দিয়েও শান্তিতে নেই বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মন্ডল। কারণ তাঁর পাঁচ-পাঁচজন বিশ্বস্ত সেনাপতি এবার দলীয় শাস্তির মুখে। ব্যাপারটা কি? সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ত্ব থেকে এবার কড়া নির্দেশিকা গিয়েছিল কোনও ব্লক সভাপতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মহম্মদবাজার, সিউড়ি-১, মযূরেশ্বর-২, মুরারই-১ ও মুরারই-২ ব্লক সভাপতির হয় জেলা পরিষদে নাহয় পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হয়েছেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেও গেছেন। কিন্তু এখানেই সমস্যা! দলীয় বিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থী হয়ে ঘর বিপাকে তাঁরা। দলীয় শাস্তির মুখে দাঁড়িয়ে তাঁদের জবাব, ঐসব আসনগুলোতে প্রার্থী হওয়ার জন্য দাবিদার ছিলেন অনেকে, টিকিট না পেলে দেখা দিতে পারত বিদ্রোহ, আর তাই দলের স্বার্থেই ভাঙন ঠেকাতে তাঁরা প্রার্থী হয়েছিলেন। এখন দল যা নির্দেশ দেবে তাঁরা মাথা পেতে নেবেন! আর এই নিয়ে দলও ঘোরতর সমস্যায়, কেননা পঞ্চায়েতের প্রার্থীপদ ছেড়ে দিলে আসন হবে ফাঁকা, হবে পুনরায় নির্বাচন, যা এড়াতে চাইছে দল। অন্যদিকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ত্ব ছেড়ে দিলে, দলে হবে ক্ষমতা হ্রাস, তাই সেটিও কেউ চাইছেন না। অন্যদিকে দুটিই রেখে দিলে, রাজ্যের অন্যান্য ব্লকে দেখা দিতে পারে গণবিদ্রোহ – একেক জায়গায় একেক নিয়ম কেন সেই প্রশ্ন তুলে। আর তাই সবমিলিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা তাকিয়ে আছে শীর্ষনেতৃত্ত্বের সিদ্ধান্তের দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!