এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > খোদ অমিত শাহকেও ‘রাস্তায় দাঁড়ানো উন্নয়ন’ দেখালেন, দাবি ‘চরাম-চরাম’ নেতা অনুব্রতর

খোদ অমিত শাহকেও ‘রাস্তায় দাঁড়ানো উন্নয়ন’ দেখালেন, দাবি ‘চরাম-চরাম’ নেতা অনুব্রতর


লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গে বিজেপির জাতীয় সভাপতির সফরকে নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে ছিল রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে। গতকাল পুরুলিয়ার জনসভাকে কেন্দ্র করে সক্রিয়তা তুঙ্গে ছিল জেলা তথা রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বদের মধ্যে। নির্ধারিত পরিকল্পনামাফিকই এদিন প্রথমে অনুব্রতের গড়ে অর্থাৎ বীরভূমে হাজির হয়েছিলেন অমিত শাহ তারাপীঠ দর্শন এবং পুজো দিতে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই তারাপীঠ সফরকে কেন্দ্র করেও গেরুয়া শিবিরের উন্মাদনা ছিল দেখার মত। ঢোল-বাদ্যি এনে বঙ্গীয় সংস্কৃতির মধ্যে দিয়েই স্বাগত জানানো হয় অমিত শাহকে। আর এনিয়ে কটাক্ষ করতে পিছপা হলেন না বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা অনুব্রত মন্ডল। স্বকীয় ভঙ্গিতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ঢাক বাজাক, ঢোল বাজাক, কোনো লাভ নেই – উন্নয়ন বীরভূমের রাস্তায় এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত, প্রকাশ্যে তাঁর একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে বারবার বিতর্কে জাড়িয়েছে অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেষ্টর নাম। তবে নিন্দুকেদের সমালোচনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিবার। কখনো ‘গুড় বাতাসা, কখনো ‘চড়াম চড়াম’ কখনো ‘পুলিশকে বোমা মারা’ বা ‘বিরোধীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার’ হুমকি – এক একটা নির্বাচনের আগে এরকম বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তিনি প্রতিবারেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও ‘উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে’ মন্তব্যটি নিয়ে বির্তকের ঝড় উঠেছিলো রাজনৈতিক মহলে। সেই ‘রাস্তায় উন্নয়ন’ কেন্দ্রীয় মন্তব্যকে টেনে ফের আরো একবার অবিচলিত ভঙ্গিতে বললেন, আগেও বলেছিলাম, এখনও বলছি, বীরভূমের রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। অমিত শাহও দেখতে পেয়েছেন, উন্নয়ন কী ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই ওঁর মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তারাপীঠে এসে তিনি পুজো দিয়েছেন, তারপর মুখ বুজেই চলে গিয়েছেন। মুখ খুলতে পারেননি। তাঁর আরো দাবী, রাস্তায় উন্নয়নকে অর্থাৎ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই নাকি অমিত শাহ নাকি কোনোরকম মন্তব্য না করেই চলে গিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব যে তারাপীঠে পুজো দিতে আসবেন এ খবর তৃণমূল শিবিরে পৌছাতেই তাঁরা তারাপীঠের রাস্তার দুপাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের ছবি সম্বলিত প্রচুর ফ্লেক্স দিয়ে মুড়ে দিয়েছিলো। এ নিয়ে জেলা বিজেপি শিবির আপত্তিও জানিয়েছিলো। এমনকি বিতর্কও তৈরি হয়েছিলো রাজ্য রাজনীতির দরবারে। তবে তিনি যে অনুব্রত মন্ডল, কোনো বিতর্ককে পাত্তা না দিয়ে তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই যে তাঁর ধর্ম এটা আরো একবার প্রমাণ করেদিলেন। খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে ‘রাস্তায় দাঁড়ানো উন্নয়ন’ দেখিয়ে ছাড়লেন তিনি বলে দাবি তাঁর নিজেরই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!