এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > স্বয়ং দলনেত্রী মমতার উল্টো সুরে কথা বলছেন প্রিয় ভাই অনুব্রত! তীব্র অস্বস্তিতে তৃণমূল

স্বয়ং দলনেত্রী মমতার উল্টো সুরে কথা বলছেন প্রিয় ভাই অনুব্রত! তীব্র অস্বস্তিতে তৃণমূল


তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যার কথায় সম্মতি দেওয়া ছাড়া উপায় নেই কারোরই। রাজ্য বা জাতীয় স্তরে যে কোনো ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেন, সেই মন্তব্যই করতে দেখা যায় তৃণমূলের ছোট, বড়, মেজো সমস্ত স্তরের নেতাদের। তবে হায়দ্রাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যুর ঘটনায় এবার যেন দ্বিধা বিভক্ত হয়ে গেল গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার।

ইতিমধ্যেই এই গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করে মৃত্যুর ঘটনাতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরবর্তীতে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, নুসরাত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তীরা এর বিপক্ষে গিয়ে এনকাউন্টারের ঘটনাকে সমর্থন করেছিলেন। যার ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে মানতে পারছেন না তা দলের অনেক সাংসদ!

আর তাই কি তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর না মিলিয়ে দোষীদের শাস্তি হওয়াকে সমর্থন করছেন! এদিকে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার তৃণমূলের তিন সাংসদের সুরে সুর মিলিয়ে হায়দ্রাবাদের এনকাউন্টারের ঘটনাকে সমর্থন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যে ঘটনা এখন প্রবল জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, গত শুক্রবার রানী রাসমণি রোডে তৃণমূলের সংহতি দিবসে হায়দ্রাবাদের এই এনকাউন্টারের ঘটনাকে নিয়ে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “দ্রুত চার্জশিট পেশ করে আদালতে অভিযুক্তদের বিচার হওয়া দরকার। কোথাও আইন তুলে নেওয়া ঠিক হবে না। আদালতের মাধ্যমে দোষীদের সাজা দেওয়া উচিত।” তবে দলনেত্রী এরুপ কথা বললেও, সেই গোটা ঘটনাকে স্বাগত জানান তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান, মিমি চক্রবর্তী এবং শতাব্দী রায়।

যা কিছুটা হলেও দলনেত্রীর বিরুদ্ধ মন্তব্য বলে দাবি করে সমালোচক মহল। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়িয়ে হায়দ্রাবাদের দোষীদের শাস্তি হওয়ার ঘটনাকে সমর্থন করতে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, শনিবার বীরভূমের সাঁইথিয়ার কর্মীসভায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “খুব ভালো শাস্তি হয়েছে। একদম উপযুক্ত শাস্তি।” কিন্তু যেখানে তার দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করছেন, সেখানে তিনি কেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন!

এই প্রসঙ্গে অনুব্রতবাবু বলেন, “এটা তো হায়দ্রাবাদের ব্যাপার। হায়দ্রাবাদ মানে অল ইন্ডিয়ার ব্যাপার। অল ইন্ডিয়ার ব্যাপারে যা হয়, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন। সেখানে আমার বলা সাজে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ব্যক্তিগত মত বলেছেন। আমি আমার ব্যক্তিগত মত বললাম।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হায়দ্রাবাদের এই ঘটনা কিছুটা হলেও তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল।

যেখানে দোষীদের শাস্তির পরে গোটা ঘটনাকে সমর্থন করছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখছেন বলায় তৃণমূলের দ্বিধা-বিভক্ত রূপকেই প্রকাশ্যে নিয়ে চলে আসল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আর যে অনুব্রত মণ্ডল প্রায় সব কথাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মেলান, সেই তিনি হায়দ্রাবাদের ঘটনাকে স্বাগত জানানোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতের বিপক্ষে গিয়ে যে কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করলেন, তাও প্রমাণ হয়ে গেল বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!