এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > রাজ্যের জন্য ভেবে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন – বড়সড় দাবি অনুব্রতর

রাজ্যের জন্য ভেবে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন – বড়সড় দাবি অনুব্রতর


রাজ্যজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে বিতর্ক আর থামার নাম নিচ্ছে না। লকডাউন এর মাঝে দুর্গতির শিকার হয়ে বহু পরিযায়ী শ্রমিক কোন সাহায্য না পেয়ে নিজেরাই পায়ে হেঁটে বাড়ির রাস্তা ধরেন। সেইসময় টনক নড়ে সরকারের। এরপর পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য সরকারি-বেসরকারি ভাবে ব্যবস্থা করা হয় ট্রেন ও বাসের। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমিক স্পেশাল’ ট্রেন দেওয়া হয়। যাতে করে লাখ লাখ শ্রমিক ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছে।

পশ্চিমবঙ্গ সেইসব রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম, যেখানে প্রায় কয়েক লক্ষ শ্রমিক ইতিমধ্যেই রাজ্যে ফিরেছে। রাজ্যজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক এখনো বর্তমান। শাসক-বিরোধী দুপক্ষই এই বিতর্কে জড়িয়েছে বলে জানা যায়। রাজ্য রাজনীতিতে বর্তমানে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন, সেই একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সুর মিলিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানালেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে আছেন তিনি।

এদিন অনুব্রত পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাঁকে যে কোন সমস্যায় যেন ফোন করা হয়। বুধবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। এবং সেখানেই তিনি জানান, ‘বাইরের রাজ্য থেকে যে সব পরিযায়ী শ্রমিকরা এসেছেন তাঁরা কেউ না খেয়ে থাকবেন না। খাবারের কোনও অভাব নেই। বীরভূমের ১৯টি ব্লক সভাপতিদের বলা হয়েছে শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করতে। তাঁদের খাবার না থাকলে খাবারের ব্যবস্থা করতে। এরপরেও যাঁদের অসুবিধা হবে তাঁরা সরাসরি আমাকে ফোন করবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি নাম না করেই রাজ্যের গেরুয়া শিবিরকে পরিযায়ী শ্রমিক বিতর্কের জন্য রীতিমতো কটাক্ষ করেন। এদিন অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, ‘বিজেপির কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। লকডাউন ঘোষণার আগে ৫ দিন ট্রেন চালালে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে কোন সমস্যা থাকত না। সবাই সবার জায়গায় পৌঁছে যেতেন। কিন্তু মোদি সরকার তা করেনি। আজকে শ্রমিকেদের হেঁটে বাড়ি ফিরিতে হচ্ছে। যে সব ট্রেন আসছে তার রুট পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মা, মাটি, মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সবার জন্য খাবারের কাজের ব্যবস্থা করেছেন।’

অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর কথায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের চূড়ান্ত ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই সমস্ত কিছু জানার পরে এবং দেখার পর মাত্র এক হাজার কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে। যার দ্বারা রাজ্যের অপূরণীয় ক্ষতি পূরণ করা একপ্রকার অসম্ভব। অনুব্রত আরো জানান, রাজ্যের জন্য ভেবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন।

তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিখ্যাত রাজনৈতিক মহলে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর একনিষ্ঠ সৈনিক হিসাবেও তিনি দলে পরিচিত। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সহ বিভিন্ন সমস্যায় রাজ্য যখন রীতিমত বেকায়দায়, তখন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে মুখ খুললেন তা নিয়ে পরবর্তীতে আরেক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন, তা যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!