সংগঠন বাড়াতে অনুব্রত-গড়ে ঢুকলেই আক্রান্ত হতে হচ্ছে, বিস্ফোরক দাবি বিজেপির মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য August 8, 2018 কখনও গুড় বাতাসা তো কখনও চড়াম চড়াম ঢাক! বীরভূমের দাপুটে তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের এহেন কথাতে বিভিন্ন সময় রাজ্যজুড়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিজেপি। কিন্তু বিরোধীদের যেন সবসময়েই আতঙ্ক গ্রাস করে বেড়াচ্ছে বীরভূমে। অভিযোগ, তৃনমূলের এই অনুব্রত মন্ডলের গড়ে সংগঠন বিস্তারে গেলেই তৃনমূলের হাতে মার খেতে হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। জানা গেছে; গত রবিবার সকালে হজরতপুর গ্রাম বীরভূমের খয়রাশোলের হজরতপুর পঞ্চায়েতের মুন্দিরা গ্রামের একটি বাড়িতে 15 জন নেতা কর্মীকে নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন বিজেপির কিষান মোর্চার সভাপতি শান্তনু মন্ডল। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই তৃনমূলের কিছু দুস্কৃতী তাঁদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনায়, শান্তনু মন্ডলের হাত ভাঙার পাশাপাশি তিন জন আহত হন। আর তাই এরই প্রতিবাদে গত শুক্রবার দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি ও বিরোধীদলের ওপর এহেন ঘটনা বন্ধের প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপার কুনাল অগ্রবালের অফিসের সামনে একটি অবস্থান বিক্ষোভও করে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। দলের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেওয়া হয় প্রশাসনের কাছে। এদিন এই স্মারকলিপি পেয়ে বিজেপি প্রতিনিধিদের এব্যাপালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল। এদিন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “বারবার একই ঘটনা ঘটছে। এদিন খয়রাশোলের তৃনমূলের ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষের নেতৃত্বেই আমাদের দলের কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। এভাবে কেন রোজ আমাদের ওপর আক্রমন হবে? কেন পুলিশ অভিযোগ এলেও ব্যাবস্থা নেবে না?” এদিকে এ নিয়ে পাল্টা মুখ খুলেছে তৃনমূলও। বিজেপির এই অবস্থান বিক্ষোভকে কটাক্ষ করে শহর তৃনমূলের সভাপতি অভিজিৎ মজুমদার বলেন, “মোটে শ খানেক লোক নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। আসলে লোক নেই বলেই আমাদের বিরুদ্ধে কুকথা বলে সামনের সারিতে উঠে আসতে চাইছে।” তবে যেই জেলায় শাসকদলের এত মজবুত ভিত সেখানে বিরোধীদের সাংগঠনিক কাজে কেন নেমে আসবে শাসকের আঘাত? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -